আফ্রিকা ভ্রমণে গিয়ে নিজাম বেশ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর সাক্ষাতে জানেন যে, তারা এক সময় ছিল বর্বর, সৃষ্টিকর্তার কোনো বিধান মানত না। পরে কিছু লোক এসে তাদেরকে ঐশ্বরিক বিধানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। ফলে তারা বর্বর থেকে হয়ে ওঠে সভ্য। তিনি সালাহ নামে একজনের সাক্ষাৎকার নেন। সালাহ বলেন, আজকের লোকেরা আবার সৃষ্টিকর্তার বিধান ভুলে যেতে বসেছে। যার ফলে চারদিকে এত অন্যায়। আমি তো মনে করি, এদের সংশোধনের জন্য তাদের মতো লোক আসাটা খুবই জরুরি।
মারুফদের ঘর মসজিদের পাশেই। একদিন ভোরে মসজিদ থেকে ভেসে আসা আযানের ধ্বনি শুনে সে বিরক্ত হয়। সকালবেলা তার মায়ের কুরআন তিলাওয়াতেও বিরূপ মন্তব্য করে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ার অজুহাত তোলে। এবার ঈদুল-আযহায় মারুফের বাবা হযরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর মহান স্মৃতি স্মরণ করে তার পুত্র ইসমাইল (আ.)-এর নামে তাদের কুরবানির গরুটা জবাই করেন।
জনৈক ইসলামি গবেষক একটি সেমিনারে ১ম অধিবেশনে বলেন, যে সকল বিষয়ের বৈধ হওয়া কুরআন-হাদিস দ্বারা প্রমাণিত সেগুলো সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করা উচিত। আর এগুলো কথা, কাজ বা বস্তু সবই হতে পারে। উক্ত গবেষক দ্বিতীয় অধিবেশনে বলেন, দুনিয়ার জীবন আমাদের জন্য পরীক্ষাগার। তাই এমন কিছু করা যাবে না, যে সকল কাজ বা বস্তু কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট নির্দেশে অবশ্যই পরিত্যাজ্য বা বর্জনীয়।
সাজিদার একমাত্র মেয়ের বিয়েতে ধারকর্জ করে গায়ে হলুদের নামে প্রচুর অর্থ খরচ করেন। অন্যদিকে তাঁর ছেলে সাজিদ কিছুদিন ধরে বাবার ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু এখন তা ছেড়ে দিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরাঘুরি করে অলস সময় কাটায়। এদিকে সাজিদের ছোট ভাইটাও শারীরিক অক্ষমতার কারণে বাবার ব্যবসায় সহযোগিতা করতে অপারগ।
দৃশ্যপট-১ : মুরাদপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান তাঁর উদ্বোধনী ভাষণে বলেন, এখন থেকে আমার ইউনিয়নে কোনো স্বামী তার স্ত্রীদের প্রতি অসদাচরণ ও কাজের লোকদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না। আর যারা সমাবেশে আসে নাই তাদের কাছেও আমার কথাগুলো প্রচার করবেন।
দৃশ্যপট-২ : বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্য জাবির স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতার জন্য বীরবিক্রম উপাধি পান। সাহিত্যেও দখল থাকার কারণে তাকে সাহিত্যের বিশ্বকোষ বলা হতো। তিনি চলাফেরায়ও বিলাসী ছিলেন। কাজের জন্য অনেক লোকও ছিল তার।
‘সোনার বাংলাদেশ গড়া' শীর্ষক আলোচনা সভায় ফাবিহা বলেন, এদেশে ৮৫% মুসলমান সবাই ভাই ভাই। একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসলে এরূপ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব। ফাবিহার সহপাঠী ফারিহা দ্বিমত পোষণ করে বলেন, শুধু মুসলমান কেন? এদেশে অন্য সম্প্রদায়ের লোকেরও বসবাস। তাই সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের প্রতি ভাইয়ের মতো আচরণের মাধ্যমেই সম্ভব ‘সোনার বাংলাদেশ গড়া’।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারাহ তার সহপাঠী জেরিনের সাথে এক আলোচনায় 8 বলে, আমাদের দেশে এখনও অনেক লোক অনাহারে থাকে। তাই ক্ষুধা দূরীকরণে কাজ করতে হবে। কারণ প্রতিবছর মাসব্যাপী প্রশিক্ষণে আমরা এর শিক্ষা পেয়ে থাকি । জেরিন যোগ করে বলেন, শুধু তাই নয়, অভাবগ্রস্ত মানুষের ভাগ্য উন্নয়নেও মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের সকল ধনী মিলে বছরান্তে পরিকল্পিতভাবে কিছু কাজ করতে পারলে ধনী-গরিবের পার্থক্য দূর হয়ে যাবে ।
শিক্ষা সপ্তাহ প্রোগ্রামে আমন্ত্রিত একজন অধ্যাপক দুজন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞানীর উদ্ধৃতি দেন। প্রথম জন সামাজিক বিজ্ঞানের কিছু নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করে দেশব্যাপী সাড়া ফেললে রাষ্ট্রপ্রধান তাকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ডেকে পাঠান। তিনি আত্মমর্যাদাবোধের কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেন। দ্বিতীয় জন রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনের তত্ত্বকে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে সহজ করে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরেন। এজন্য সরকার তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে চাইলে তা তিনি নেননি। আলোচক তার প্রসঙ্গে বলেন, তিনি জ্ঞানীর আত্মমর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন।