জনাব লিমন একজন বিত্তশালী ব্যক্তি। তিনি জনাব নোমানের ওপর অনেক অত্যাচার করেন। এমনকি তার অত্যাচারের কারণে নোমান এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। পরবর্তীতে জনাব নোমান সুযোগ পাওয়ার পরেও তার প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। আর তার ছোট ভাই জনাব মানিক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরেও সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। নিজের কাজ নিজ হাতে সম্পাদন করেন।
জনাব ইমরান একজন সমাজ সেবক ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে তিনি নিজ ইউনিয়নে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করলেন। তার পুত্র একদিন নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করলে তিনি তাকে জনসম্মুখে বেত্রাঘাত করলেন। তাঁর আদর্শে লালিত তার এক ছোট ভাই জনাব ইশতি একজন ধনী মুসলিম। তিনি জনসাধারণের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে এলাকায় ২০টি গভীর নলকূপ তৈরি করে পানির সুব্যবস্থা করে দিলেন। কোনো এক সময় এলাকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে তিনি ত্রাণসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করে থাকেন। জনাব ইশতির কর্মকাণ্ড দেখে প্রবীণ অধিবাসী জনাব জাকারিয়া সাহেব মুসলিম জাহানের খলিফাগণের কথা স্মরণ করে বলেন, এমন নেতার আগমন কিয়ামত পর্যন্ত ঘটতে থাকুক।
মি. কাশেম শুক্রবার সকালে কাওরান বাজারে বাজার করতে যান। তিনি একদল যুবককে জটলা করতে দেখেন। যুবকরা হঠাৎ হাত বোমা নিক্ষেপ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মুহূর্তের মধ্যে তারা দোকানের মালপত্র, টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। জনাব কাশেমের স্ত্রী জামিলা একজন ভদ্র মহিলা। তিনি নামায রোযা পালন করেন। কিন্তু তার বাড়িতে থাকা কাজের মেয়ে সালমাকে ঠিকমতো খেতে দেয় না । পাশাপাশি মাসিক বেতনও ঠিকমতো পরিশোধ করেন না। ফলে উভয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয় ।
কারিমা ও ডেইজি দু'বোন। ডেইজির পোশাকের দিকে তাকিয়ে একদল যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করে। এমতাবস্থায় তার বোন কারিমা বলে তোমার পোশাক পরিবর্তন করে চলাফেরা করা দরকার। তখন ডেইজি বলে, আমি সেকেলে পোশাক পরতে পছন্দ করি না। তার মা তাদের দু'বোনের এমন পরিস্থিতি দেখে বলল, “আল্লাহ তায়ালা পর্দার আয়াতের মাধ্যমে নারী-পুরুষের পোশাকের একটি সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি অপচয়কারীকে আল্লাহ শয়তানের ভাই বলে আখ্যা দিয়েছেন।”
আসিফ দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রংপুর হতে সৈয়দপুরগামী বিরতিহীন গাড়িতে ওঠে। কিন্তু গাড়ির চালক রাসেল তার কথা রক্ষা না করে বেশি টাকার আশায় বিভিন্ন স্থানে থেমে যাত্রী তোলেন। ক্ষুব্ধ হয়ে শাহেদ নামের একজন যাত্রী পথেই নামতে গিয়ে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে অন্য একজন পথযাত্রী জনাব জাহিদ তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে তার বাড়িতে পৌঁছে দিলেন। তার মা ঘটনাটি শুনে বললেন, মানুষ যতক্ষণ অন্যের সাহায্য করবেন, আল্লাহ অষ্ঠক্ষণ তার প্রতি রহমত বর্ষণ করতে থাকবেন।
জনাব 'ক' একটি কোম্পানিতে কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করেন। টাকার বিনিময়ে সে অফিসের প্রয়োজনীয় ডাটা অন্যত্র বিক্রয় করে ফেললেন। এতে কোম্পানিটি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলো। একদিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জনাব 'ক'- এর নিকট প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে সে দিতে পারল না। তখন একই অফিসের করণিক জনাব 'খ' তার কাছে রাখা ফাইল থেকে উক্ত তথ্যের ফটোকপি বের করে দিলেন। এতে তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে কর্তৃপক্ষ তার জন্য একটি উৎসাহ ভাতা ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি জনাব 'ক'-কে চাকরি হতে অব্যাহতি দিলেন।
সালাম ও কালাম দু'বন্ধু কক্সবাজারে বেড়াতে যায়। সমুদ্র সৈকতে অবস্থান করার সময় তাদের চোখের সামনে একজন পর্যটক মৃত্যুবরণ করে। এ দৃশ্য দেখে সালাম বলে, যারা ফ্রন্টাসহ কতিপয় বিষয়ের ওপর আস্থা রেখে মৃত্যুবরণ করে তারা জান্নাতি । একথা শোনার পর কালাম বলে, আমরা যে দ্বীনের বিধিবিধান পালন করি তা সেকেলে হয়েছে। আমাদের গ্রামের 'ক' নামক পীর বাবাই শেষ জামানার দ্বীনের পথ প্রদর্শক। তিনিই সুপারিশ করে আমাদেরকে জান্নাতে নিবেন।
মি. সালেহীন একজন মৎস্য চাষি। এবারের বন্যায় তার মৎস্য খামার ভেসে যায় এবং সমস্ত মাছ বন্যার পানিতে চলে যায়। ফলে সে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তবুও সে মনোবল হারায়নি। এমতাবস্থায় তার প্রতিবেশী মি. রফিক তাকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে বলে তুমি পুনরায় মাছ চাষ কর। আমার টাকার কোনো লভ্যাংশ দিতে হবে না । মি. সালেহীন পুনরায় মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে।
জনাব 'ক' একজন ব্যবসায়ী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রমযান মাসে তিনি এক হাজার পিচ শাড়ি ও এক হাজার পিচ লুঙ্গি ক্রয় করে গরিবদের মাঝে বিতরণ করে তার আর্থিক ইবাদত পালন করলেন। পাশাপাশি তার ছোট ভাই জনাব 'খ' এর ওপর হজ ফরজ হলে তিনি হজ্ব বাবদ খরচ হিসাব করে গরিব- মিসকিনকে দান করেন। তিনি মনে করেন হজ না করে ঐ অর্থ পরিব- মিসকিনকে দান করলেই হজের সওয়াব পাওয়া যাবে ।
জনাব 'ক'-এর বাড়িতে তার মেয়ের শ্বশুর জনাব 'খ' বেড়াতে আসল । যুহরের সালাত দু'জনে জামাতের সাথে মসজিদে আদায় করে বৈর হলে পথে কিছু ভিক্ষুকের সাথে দেখা হলো। তাদের কাছে ভিক্ষা চাইলে জনাব 'খ' ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দিল । বাড়িতে ফিরে জনাব 'ক' জানতে পারল রান্না করার মতো লবণ ঘরে নেই। তাই তিনি তার স্ত্রীকে প্রতিবেশী ‘গ' এর বাড়ি থেকে কিছু লবণ ধার করে আনতে বলেন। ধার চাইলে জনাব ‘গ' এর স্ত্রী তা দিতে অস্বীকার করল। বিষয়টি জনাব 'ক' শুনে 'গ' এর স্ত্রীকে ধিক্কার দিয়ে বললেন, “তোমার জন্য পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।”
জনাব 'ক' একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তিনি অফিসের কাজকর্ম করতে গিয়ে লোকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেন। তার স্ত্রী সাবিহা তাকে এ সমস্ত টাকা নিতে নিষেধ করলে তিনি বলেন, এ টাকা বৈধ। কারণ আমি দ্রুত তাদের কাজ করে দিই। সাবিহার কোনো সন্তান না থাকায় সে মিরপুর মাজারে গিয়ে পীর বাবার কাছে সন্তান চাইল। তার স্বামী বলল, “পীর বাবার সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তুমিতো আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারতে। আমাদের সবকিছু তাঁর হাতে।”