জনাব আশফাক মনে করেন, কিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে মানুষের আগমন চলতে থাকবে। সেজন্য তাদের হিদায়েতের জন্য আল্লাহ তায়ালা যখন মনে করবেন নবি-রাসুলের আগমন ঘটাবেন। এ ধারা বন্ধ হয়ে যায়নি এবং এভাবেই আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে হিদায়েত করবেন। অন্যদিকে জনাব শোয়েবের বিশ্বাস, মানুষকে ইহকালীন সকল কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সেই জীবনের শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই।
আরমান তার বন্ধু রুহানকে নিয়ে খালার বাড়ি বেড়াতে যায়। যাবার পথে তাদের গাড়িটি অল্পের জন্য খাদে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। খালার বাড়ি পৌঁছে আরমান ড্রাইভারকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলল, আপনি আমাদেরকে বাঁচিয়েছেন। একথা বলে তারা ড্রাইভারকে একটি নিষিদ্ধ পানীয় দিতে চাইলে তিনি বললেন, এটি পান করা হারাম। তখন রুহান বলল, অল্প অল্প পান করা যায়। এতে দোষের কিছু নেই। কোনো পাপও হবে না ।
আব্দুল আজিজ ও আব্দুর রহমান ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। বর্তমান সময়ে সৃষ্টি হওয়া কিছু কিছু নতুন বিষয়ের শরিয়তের সমাধান সম্পর্কে তাদের মাঝে কথা হচ্ছিল। আব্দুল আজিজ বলল, যেসব বিষয়ের সমাধান সরাসরি কুরআন ও হাদিসে পাওয়া যাবে না সে বিষয়ে আলেমগণ একত্রিত হয়ে পরামর্শ করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমাধান বের করবেন। তার বক্তব্য শুনে আব্দুর রহমান বলে, যদি সেটিও সম্ভব না হয় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে চিন্তা করে কুরআন-হাদিসের আলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা ইসলাম একটি বিজ্ঞানসম্মত ও গতিশীল জীবন ব্যবস্থা । ইসলাম বর্তমান বিশ্বায়নের নতুন নতুন বিষয়ের বিধান প্রদান করে ।
জনাব ‘ক’ টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে ইবাদত সম্পর্কিত আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, ইসলামে এমন একটি ইবাদত রয়েছে যার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দিবেন এবং এ ইবাদত পালনকারীর অতীত জীবনের পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তখন একজন শ্রোতার এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইসলামে এমন আরও একটি ইবাদত আছে যার মাধ্যমে বিশ্বভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে এবং এ ইবাদত পালনকারী শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায় ।
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা ক্লাসে সাকিব জানতে চাইল, দিনের পর দিন আমাদের সমাজে গরিব ও বেকার লোকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের উপায় কী? তখন শিক্ষক মহোদয় বললেন, সমাজের নিসাব পরিমাণ মালের মালিকগণ যদি তাদের সম্পদের নির্দিষ্ট পরিমাণ মাল গরিব-মিসকিনদের মাঝে বিতরণ করেন তাহলে এ সমস্যা সমাধান হতে পারে। একথা শুনে শ্রেণির অন্য একজন মেধাবী ছাত্র বেলাল বলল, স্যার ইসলামে এমন একটি ইবাদত রয়েছে যা পালন করলে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে এবং এর প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা নিজ হাতে দেবেন।
গণি মিয়া একজন মুদি দোকানদার। তিনি চাল-ডাল ইত্যাদি দ্রব্যাদি ক্রয়ের সময় ওজনে বেশি নেয় এবং বিক্রয়ের সময় ওজনে কম দেয়। এছাড়া ভালো-মন্দ দ্রব্য একসাথে মিশিয়ে ভালো বস্তুর মূল্য গ্রহণ করে। তার স্ত্রী সখিনা বেগম কারও ভালো দেখলে জ্বলে-পুড়ে মরে। সর্বক্ষণ অন্যের ক্ষতি কামনা করে। কারও সুখ তার সহ্য হয় না।
লতিফ সাহেব একজন ধর্মভীরু ও সম্পদশালী ব্যক্তি। তিনি রমযান মাসে দরিদ্র লোকদের ডেকে যাকাত বাবদ ১ লক্ষ টাকা দান করেন। টাকা পেয়ে গ্রামের দরিদ্র লোকজন খুশি হয়ে তার জন্য দোয়া করেন। অন্যদিকে আবির তার বন্ধু কামালকে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। তারা ইমাম সাহেবের বক্তব্যে জানতে পারে যে, দুনিয়াতে এমন একটি ইবাদত রয়েছে, কিয়ামতের দিন প্রথম এটির হিসাব নেওয়া হবে। আর এ বিষয়ের হিসাব যার সহজ হবে, জান্নাতে গমন তার তত সহজ হবে।
জনাব সুলাইমান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার এলাকার সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের অবস্থা জানতে শহরের অলি-গলিতে ঘুরে বেড়ান। এলাকার উন্নয়নের জন্য নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এই অংশ হিসেবে তিনি ধনাঢ্য আশিক সাহেবের নিকট মসজিদ নির্মাণের জন্য কিছু জায়গা চাইলেন। আশিক সাহেব মসজিদের জন্য একটি জায়গা দিলেন। শুধু তাই নয়, ইসলাম ও মানবতার সেবায় তিনি তার সম্পদ অকাতরে ব্যয় করেন।
জনাব হাসনাত শ্রীরামপুর গ্রামের একজন পরিচিত মানুষ। নিজ উদ্যোগে বেশকিছু ভালো কাজ করতে চাইলে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরোধিতা করে এবং তাকে এলাকা থেকে চলে যেতে বাধ্য করে। তখন জনাব হাসনাত অন্য এলাকায় গিয়ে বসবাস করেন এবং এক সময় ঐ এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে এলাকার জনগণের কৃত অপরাধ ক্ষমা করে নিজ এলাকায় ফিরে আসতে চাইলে এলাকার লোকজন তাকে সাদরে গ্রহণ করে। অন্যদিকে এলাকার জনগণের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য আফসার নামে এক যুবক একটি সংঘ গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংঘটির উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় ইমাম সাহেব বলেন, এরূপ কর্মকাণ্ডের মধ্যে সামাজিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিফলন রয়েছে।