মেঘনার তীরবর্তী গ্রামে বেড়ে ওঠা দুরন্ত কিশোর জুনায়েদ দশম শ্রেণির ছাত্র। ক্লাসে সবচেয়ে প্রাণবন্ত ও অসম সাহসী এ কিশোর। সবকিছুতে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। খেলাধুলা, বন্ধুদের সাথে দুষ্টুমি কোনো কিছুতে সে পিছিয়ে নেই। হঠাৎ একদিন সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারায়। এতে সে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। পড়ালেখায় মন দিতে পারছে না। তার সর্বদা মনে হতে লাগল এখন আর পড়ালেখা করে কী লাভ হবে? কিন্তু তার সহপাঠীরা তাকে উৎসাহ ও সাহস দিয়ে আবার প্রাণচঞল করে তোলে। সে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। সকলে তার সফলতায় খুশি হয়।
হাদি ও হায়দার দুই সহোদর ভাই। পড়ালেখা শেষ করে দুজনেই সরকারি চাকরিতে যোগদান করে। হাদির তুলনায় হায়দারের বেতন কম হলেও সে তাতেই সন্তুষ্ট । হায়দার মনে করে মানুষের সেবা করাই তার ব্রত। এ কারণে সে সদা কর্তব্যপরায়ণ ও দায়িত্বশীল। অন্যদিকে তার ভাই হাদি বেশি বেতন পাওয়ার পরও মানুষের ফাইল আটকে রেখে প্রচুর টাকা রোজগার করছে। বাড়তে থাকে তার বাড়ি-গাড়ি ও সম্পদ। দুর্নীতির মাত্রা বেড়ে গেলে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করে।
বাংলা বিষয়ের শিক্ষক শাখাওয়াত স্যারের মুখে বাংলার রূপকথার গৌরবময় ইতিহাস জানতে পেরে মাহমুদ পুলকিত হয়। রূপকথার গল্প শোনার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মে তার ভেতর। দাদির কাছে গিয়ে আবদার করে রূপকথার গল্প শোনার। কিন্তু দাদি হিন্দি সিরিয়াল দেখায় মগ্ন। দাদি বলে সেগুলো কি আর এখন মনে আছে? তার চেয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখ। এগুলোতে অনেক মজা পাবি। দাদির এমন কথায় মাহমুদের মন খুব খারাপ হয়।
বাড়ির সকলের প্রতি সমান দায়িত্ব তার। কে, কখন চা খাবে, কখন ঔষধ খাবে; কোনো কিছুই তার বাদ পড়ে না। কারো কাপড় ময়লা হলে ধুয়ে ফেলা, খাওয়া- দাওয়ার খোঁজ নেয়া যেন তার প্রাত্যহিক রুটিন। গৃহিণীর কখন কী লাগবে তাও সে জানে। হেলেনার এমন কর্তব্যপরায়ণতায় সবাই মুগ্ধ। এগারো বছরের এই মেয়েটির প্রতি সবাই তাই খুব আনরিক তার একটু সর্দি-জ্বর হলেও সবাই হিয়ে পড়ে। গৃহ লোকদের এমন ব্যবহারে হেলেনা নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করে।