পাখিডাকা ছায়াঘেরা নিভৃত পল্লিগ্রাম নয়াকাটা। খেটে খাওয়া কৃষক সালামত আলী'র জন্ম এ গ্রামেই। সাত সদস্যের বড় সংসার চালাতে গিয়ে নুন আনতে পানতা ফুরিয়ে যায় তাঁর। দেশের প্রেক্ষাপট কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তাই তার আগ্রহও নেই, তেমন ধারণাও নেই। গ্রামের কয়েকজন সচেতন শিক্ষিত যুবকের কাছে প্রথম তিনি জানতে পারেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে। যুবকরা তাঁকে বলে চাচা দেশকে শত্রুমুক্ত করতে হবে। তবেই দেশ হবে নিরাপদ। প্রতিষ্ঠিত হবে শোষণ-বৈষম্যহীন একটি সুন্দর সমাজ যুবকদের কথায় কৃষক সালামত আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে সম্মুখ যুদ্ধে জীবন বিসর্জন দেন কৃষক সালামত আলী।
প্রত্যন্ত গ্রাম সোনাইছড়ি। এ গ্রামেরই বাসিন্দা সহজ, সরল কৃষক শরীফ। তিন কন্যা। দু'পুত্র সন্তান নিয়ে কষ্টের সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তাই জীবনবাস্তবতার কথা ভেবে বড় মেয়ে নবম শ্রেণি পড়ুয়া মেধাবী ছাত্রী জমিলাকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কৃষক শরীফ । কিন্তু জমিলার তাতে মত নেই মোটেই। বিষয়টি সে তার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করে। তিনি জমিলার বাবাকে বুঝিয়ে এই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। জমিলা এখন নির্বিঘ্নে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ভরদুপুরে বাড়ির পেছনের পুকুর থেকে পানি আনতে গিয়ে মূর্ছা যায় রাহেলা। পরিবারের সবার ধারণা, রাহেলার উপর নিশ্চিত জিন-ভূতের আছর পড়েছে। তাই সে মূর্ছা গিয়েছে। পাড়া-প্রতিবেশী বাড়ির সবার পরামর্শ— দ্রুত কবিরাজ দেখানো হোক, ঝাড়ফুঁক করানো হোক রাহেলাকে। তবেই সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু তাতে বাদ সাধে রাহেলার বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ইশতিয়াক। সে বলে, রাহেলাকে আমি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব।