জনাব নাজিম একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক, তিনি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন প্রণালি এমনভাবে তৈরি করেন যেন উৎপাদিত পণ্যের সংখ্যা অতিরিক্ত না হয় আবার প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এভাবে উৎপাদন করায় প্রতিষ্ঠানটি টিকে আছে। অপরদিকে জনাব রহমান তার প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের প্রত্যেকের কাজ নির্দিষ্ট করে দেন, ব্যবসায়ের প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে কম খরচের উৎস বিবেচনা করেন। তাছাড়া দেশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাগুলোও গ্রহণ করেন। ভবিষ্যতে পণ্য বৈচিত্রকরণের কথাও মাথায় রেখে উৎপাদন করেন। এজন্য বর্তমানে জনাব রহমান একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।
জনাব রাজা খুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি কিছু জমি লিজ নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সরিষা চাষ শুরু করেন। বাজারে সরিষার চাহিদা থাকায় তিনি লাভবান হলেন। তিনি সরিষা চাষের পাশাপাশি মৌ চাষ শুরু করেন। এতেও তিনি লাভবান হলেন। তার প্রতিবেশীরা উৎসাহিত হয়ে তারাও মৌ চাষ শুরু করেন। তাদের উৎপাদিত সরিষা ও মধু দেশের চাহিদা মেটাতে অনেকাংশে সক্ষম হন।
মালেক মিয়া একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী। মাঝে মাঝে তিনি VAT ফাঁকি দেন। অধিক লাভের আশায় প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ করেন। এগুলো দেখাশোনার জন্য তিনি ৪ জন কর্মীকে প্রশিক্ষণের পর নিয়োগ দেন। তিনি সময়মতো তাদের পারিশ্রমিক দেন এবং স্বাস্থ্যগত ও থাকার স্থানের ব্যাপারে লক্ষ রাখেন। হঠৎ পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা বিক্রির সিদ্ধান্ত দেন। এমন সময় প্রশাসনিক লোক এসে তাকে ধরে নিয়ে যান।
মি. রানা একটি ইটভাটার মালিক। তাঁর প্রস্তুতকৃত ইটের গুণগত মান ভালো থাকায় চাহিদা অনেক বেশি, তবে বর্ষার মৌসুমে পরিবেশ প্রতিকূল থাকার কারণে তিনি ব্যবসার পাশাপাশি নতুন কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করলেন। কিছুদিন পর পরিবেশবাদী ও ভোক্তা আইনে লোকজন আপত্তি জানান। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে এলাকার উচ্ছৃঙ্খল ছেলেদের অর্থ দিতে হয়। এজন্য কিছু শ্রমিক কাজের প্রতি অনীহা ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ফলে তিনি ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন ।
সুজন প্লাস্টিক ফ্যাক্টরির পাশে একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান দেন। ব্যবসায়ের গতি প্রকৃতি না বুঝে অধিক পরিমাণ পণ্য দোকানে তোলেন। এছাড়া তার ছোট ভাইয়ের বন্ধুকে ম্যানেজার হিসেবে নিযোগ দেন। কিন্তু ক্রমাগত লোকসান হওয়ায় ব্যবসায় পরিবর্তন করে মুদির দোকান দেন। সুজন ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় 'মারা যান। চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানটি তার মনোনীত ব্যক্তিকে অর্থ পরিশোধ করেন।
জনাব প্রভা ও ফাহাদ উভয়ই ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক। প্রভা নিজে কাজ না করে প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীদের ওপর দায়িত্ব বণ্টন করেন। অন্যদিকে ফাহাদ নারী-পুরুষ কর্মীদের আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি ও সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন থেকে নেতৃত্ব দেন এবং তাদের যোগ্যতা, রুচি ও ব্যক্তিত্বের বিষয়টিও গরুত্ব দেন। ফলে তারা উভয়ই সফল ব্যবসায়ী।
মামুন, মাসুদসহ ৫ বন্ধু মিলে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার জনগণের নিকট বিক্রয়যোগ্য নয়। অপরদিকে মাসুদদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এ রকম ২৫ জন ব্যক্তি মিলে, 'সতেজ' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এ প্রতিষ্ঠানটি সকল সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা করে। এছাড়া সদস্যরা একে অপরের বিপদে আপদে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। বর্তমানে ‘সতেজ' সংগঠনটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জনাব পাভেল বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছে। তার কিছু সঞ্চিত অর্থ আছে। এখন সে দেশে কিছু করতে চায় কিন্তু অভিজ্ঞতা না থাকায় এবং ঝুঁকি থাকায় সে উৎসাহ পাচ্ছে না। অপরদিকে রমিজ উদ্দীন তার ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আর্থিক সহায়তা পেতে এমন একটি সরকারি ব্যাংকে গিয়েছেন যেটি ৫০ হাজার থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ও এদেশের নাগরিক হতে হবে এমন যোগ্যতা বিবেচনা করে থাকে।