ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হোসেন। মা-বাবা ও দুই ভাইবোন মিলে ভালোই যাচ্ছিল দিন। বাবা ঢাকায় একটা কোম্পানির চাকরি করে। তাতে তাদের সংসার ও পড়ালেখার খরচ ভালোই চলে। একদিন সবাই মিলে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা ও ছোট বোনকে হারায় সে। সকলকে হারিয়ে পাগলের মতো হয়ে যায় হোসেন। অনেকে তাকে কাজের বিনিময়ে রেখে দিতে চায়। কিন্তু সে রাজি হয় না। শোককে সামলে লেখাপড়ার ফাঁকে অল্প রোজগারে কাজ করে নিজের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করে। এভাবে সে নিজের প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যায়।
বেলায়েত সাহেব স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছেন দীর্ঘদিন। দ্বিতীয় বিষের চিন্তাও করেননি। নিয়মিত ইবাদত-বন্দেগিতে দিনাতিপাত করছেন তিনি। বাল্যবিবাহসহ নানাবিধ অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি যথেষ্ট প্রতিবাদী। এতিমখানার শিশুদের খাওয়া-দাওয়ার খোঁজখবর নেন এবং দান-সাদকা করেন। গ্রামের জনহিতৈষী এই মানুষটিকে স্বেচ্ছায় বিয়ে করে সুখী হতে চায় পিতৃহারা বিশ বছরের মেয়ে ফাহিমা।