অকালে স্বামীকে হারিয়ে দুটি সন্তান নিয়ে দিশেহারা কল্পনা। জীবন-জীবিকার তাগিদে সহায়-সম্বলহীন কল্পনা পাশের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে। সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করলেও গৃহকর্ত্রী আসমা বেগমের সন্তুষ্টি নেই। কোনো কাজে একটু ত্রুটি-বিচ্যুতি হলেই তাকে সহা করতে হয় নানা ধরনের কটূক্তি ও তিরস্কার। সন্তান দুটির মুখে দুমুঠো ভাত ও নিজের কোনো রকম বেঁচে থাকার তাগিদে জলভরা চোখে সবকিছু নীরবে মেনে নেয় কল্পনা ।
দুর্গম এলাকায় কিছু মানুষ ভ্রমণে গিয়ে খাবারের সন্ধানে একটি দোকানে হাজির হয়। দাঁড়িপাল্লা ভেঙে যাওয়ায় দোকানদার খাবার মেপে দিতে পারছিল না এমন সময় একটি মেয়ে উপস্থিত হয়ে একটি পাত্রে বাটখারা রেখে পানিতে ভাসাল। পাত্রটি যে পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেল সেখানে সে দাগ কেটে রাখল। তারপর বাটখারা তুলে দাগ পর্যন্ত খাবার মেপে দেয়ার ব্যবস্থ করল।