দখলদার 'ক' রাষ্ট্রের বাহিনী বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই 'খ' রাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ চালায়। "থ" রাষ্ট্রের জনগণ 'ক' রাষ্ট্রের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়। 'খ' রাষ্ট্রের জনগণ অন্য কয়েকটি রাষ্ট্রের সহযোগিতায় তাদের রাষ্ট্রের একাংশে একটি আশ্রিত রাষ্ট্র গড়ে তোলে। ফলে 'খ' রাষ্ট্রের অধিকাংশ অংশ 'ক' রাষ্ট্রের দখলে চলে যায়।
আবির গত জানুয়ারিতে নতুন ভোটার হয়। সম্প্রতি সে এক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোট প্রদান করে। আবিরের বাবা রফিক সাহেব DESCO-তে চাকরি করেন। একজন শিল্পপতি তার কারখানার বিরাট অঙ্কের বিদ্যুৎ বিল কমিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে রফিক সাহেবকে ৫০ হাজার টাকা দিতে চাইলে তিনি তা গ্রহণ না করে শিল্পপতির নামে দুদকে অভিযোগ করেন। আবার তিনি নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে হিসাব করে সরকারকে আয়কর দেন।
দৃশ্যকল্প-১ : জহির সাহেব একমাত্র মেয়ের বিয়েতে বরপক্ষের দাবি অনুযায়ী দুই টাকার মধ্যে এক লক্ষ টাকা প্রদান করেন। বিয়ের এক মাস পর বাকি টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং বলেন পুরো টাকা যেদিন দিতে পারবে সেদিন সে স্বামীর বাড়ি যেতে পারবে।
দৃশ্যকল্প-২ : ঢাকা শহরের চারপাশে নদনদীর তীরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য কারখানা ও ইটের ভাটা। আবার শহরের নর্দমার পানি গিয়ে মিশে নদীগুলোতে। ফলে এসব নদীর পানি কালো বর্ণ ধারণ করছে।
ঘটনা-১ : শিমুলিয়া গ্রামের যুবক সম্প্রদায় 'ধানসিঁড়ি' নামক একটি সমিতি গঠন করে। সমিতি পরিচালিত হবে, কী কী কাজ সম্পাদিত হবে, তার একটি নীতিমালা বই আকারে প্রকাশ করা হয়।
ঘটনা-২: জনাব 'খ' ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঐ বছর সেপ্টেম্বর মাসে সংবিধান সংশোধনী বিলে তিনি ভোট প্রদান করেন। বিপক্ষে কেউ ভোট না দেওয়ায় বিলটি পাস হয় এবং তাতে যে সরকারব্যবস্থা চালু হয় তা এখন ও বিদ্যমান ।
দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা রফিক ও সফিক দুই ভাই। জায়গাজমির ভাগ করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নিজেরা নিষ্পত্তি করতে না পারায় ব্যাপারটি স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জানায়। তিনি দুই পক্ষের দুই জন করে লোক ডেকে বিরোধটি নিষ্পন্ন করে দেন। আবার ঐ এলাকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মালিহা বিটিভিতে একটি সরাসরি অনুষ্ঠান দেখছিল। সে লক্ষ করল; একজন ব্যক্তি (নারী) বলছেন, “যারা এ প্রস্তাবের পক্ষে তারা হ্যাঁ, বলুন " অধিকাংশ লোক উচ্চ কণ্ঠে বলছেন "হ্যাঁ"। পরক্ষণে ঐ ব্যক্তি আবার বলছেন, "যারা এ প্রস্তাবের বিপক্ষে তারা 'না' বলুন। এবার অল্প কিছু লোক 'না' বলছেন।
শামিম হাসান শহরভিত্তিক একটি স্থানীয় সরকারের প্রধান। তিনি তাঁর অধীনস্থ ১২ জন প্রতিনিধি নিয়ে এলাকায় ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনের ঔষধ ছিটানোর করেন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন । অন্যদিকে শামিম সাহেবের বন্ধু জনাব মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রামভিত্তিক আরেকটি স্থানীয় সরকারের প্রধান। তাঁর অধীনেও ১২ জন প্রতিনিধি আছেন। তাঁরা গ্রামীণ সমস্যা দূরীকরণ এবং সেবামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর পূর্বে জনাব 'ক' একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচিত হন। তার দল অধিকাংশ আসনে জয়লাভ করা সত্ত্বেও শাসকগোষ্ঠী হস্তান্তর না করে এক অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। দলের নেতা জনাব 'ক' কে গ্রেফতার করা হয়। এমন কিছু ঘটতে পারে তা তিনি অনুমান করে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীকে পূর্বেই নির্দেশনা দেন। তাই যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর দলের নেতাকর্মীরা প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় স্বল্পমেয়াদি সরকার গঠন করে এবং যুদ্ধ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় তারা যুদ্ধে জয়লাভ করে স্বাধীনতা অর্জন করে।
শাখা সংস্থা-A : অন্যান্য শাখা সংস্থায় জনবল নিয়োগ, আহ্বান, চাঁদা আদায়, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন তৈরি প্রভৃতি প্রশাসনিক কাজ সম্পাদন করে।
শাখা সংস্থা- B: আন্তর্জাতিক বিরোধ নিরসন, আগ্রাসী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রের প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ, শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন প্রভৃতি শাসন বিভাগীয় কাজ সম্পাদন করে।