শ্যামলের বাড়ির পাশের মহাসড়কে প্রতিদিন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত সবজির পাইকারি বাজার বসে। ফলে এখানে অনেক লোকের সমাগম হয়। শ্যামল দেখলেন, এ সকল লোকের খাবারের বেশ চাহিদা আছে। তাই তিনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এবং ১১ জন দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে একটি হোটেল স্থাপন করেন। প্রথমদিকে আয় কম হলেও শ্যামলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে ব্যবসায়টির সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
সুমনের বাড়ির পাশের বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এলাকার একজন সফল উদ্যোক্তাকে প্রধান অতিথি করা হলো । সুমন ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য শোনে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কীভাবে নিজ উদ্যোগে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সফল হয়েছেন তা বর্ণনা করেন। এ বক্তব্যের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সুমন তাদের দুটি পুকুরে মাছের চাষ শুরু করে। কিন্তু এ বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান না থাকায় সে লাভের মুখ দেখেনি।
মালিবাগ বাজারে রাফিন একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। ভালো মানের পণ্য সরবরাহ ও সেবার কারণে অল্প দিনেই তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। ব্যবসায় পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য তিনি দুই বন্ধু মবিন ও রবিনকে নিয়ে সমানভাবে লাভ লোকসান বণ্টনের শর্তে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছুদিন পর মবিন পারিবারিক কারণে ব্যবসায় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
জাহিদ ট্রেডার্স অস্ট্রেলিয়া থেকে সমুদ্রপথে ছোলা আমদানি করে। দেশে আনার পর ছোলা প্যাকেটজাত করে প্যাকেটের উপরে 'T' অক্ষর দুটি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি পণ্য বাজারজাত করে। প্যাকেটের উপরে তা অক্ষর দুটি ব্যবহারের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে রেজিস্ট্রেশন করে। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবেই চলছিল কিন্তু একবার অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্য আনার পথে ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজের মালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
রফিক ঢাকা থেকে পড়াশোনা শেষ করে কোনো কিছু চিন্তা-ভাবনা না করেই নিজের জমানো অর্থ ও বাবার কাছ থেকে কিছু অর্থ নিয়ে নিজ এলাকায় সুসজ্জিত একটি ফার্স্ট ফুডের দোকান দেন। এলাকাটি জনবহুল কিন্তু লোকজন, আর্থিক দিক থেকে দুর্বল এবং তাদের সঞ্চয়ও কম। আবার জীবনযাত্রার মানও উন্নত নয়। ফলে ব্যবসায়টি থেকে যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ফলে বন্ধুর পরামর্শে তিনি ব্যবসায়টি অন্যত্র স্থানান্তর করেন।
মামুনের বাড়ি সিলেটের মাধবপুর গ্রামে। সে তার দুই ভাই, এক বোন, স্ত্রী ও দুইজন দক্ষ শ্রমিক নিয়ে বাড়ির পাশের একখণ্ড জমিতে একটি শিল্প স্থাপন করেন। মামুনের পুঁজি ও কাঁচামালের সমস্যা না থাকায় ব্যবসায়টি ভালোভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু মামুনকে তার উৎপাদিত পণ্য অনেক দূরে নিয়ে সদরে বিক্রি করতে হয়। আবার গত বর্ষায় কারখানার সামনের রাস্তাটিরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। ফলে উৎপাদিত পণ্য বিপণনে মামুনকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
হাবিব একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। লক্ষ্য অর্জনের জন্য কর্মীদের যথাযথভাবে দেওয়া, দায়িত্ব বণ্টন করা, কাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি সফলতা অর্জন করে। মি. হাবিব ব্যবসায়টির পরিধি বৃদ্ধি করতে চান। এজন্য তিনি একটি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার চিন্তা করছেন।
মিস নাছিমা চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে মাসকলাইয়ের ডালের বড়ি ও পাঁপড় তৈরির একটি ব্যবসায় স্থাপন করতে চান। তিনি এ শিল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা যাচাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলের পরামর্শে ১০ জন মহিলা কর্মী নিয়ে ব্যবসায়টির কাজ শুরু করেন। উৎপাদিত পণ্য বিপণনে সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সাহায্যের জন্য মিস নাছিমা শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হন।
জনাব মুন্না একজন পণ্য আমদানিকারক। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে তিনি থেকে তেল আমদানি করেন এবং বেশি দাম পাওয়ার আশায় প্রচুর তেল মজুদ করে রাখেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ৩,০০,০০০ টাকা জরিমানা করে। এ ঘটনায় তার ব্যবসায়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় এবং ব্যবসায়টি মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হয়।