ঘুমাদের নদীর পাড়ে অনেক ফসলী জমি ছিল যা থেকে তারা প্রচুর ফসল পেত। কিন্তু বর্তমানে সে জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা শহরে চলে আসে। পরবর্তীতে রুমা শহরের একটি স্কুলে ভর্তি হয়। স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসে স্যার একটি ভিডিও দেখালেন যেখানে বাতাস প্রচণ্ড বেগে সাপের কুণ্ডলীর মতো ঘুরপাক খেতে খেতে সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ছে। অন্য একটি ভিডিওতে সমুদ্রের তলদেশের প্লেট একটির সাথে আর একটির সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রের ঢেউ অনেক উঁচু হয়ে প্রচণ্ড বেগে উপকূলে আঘাত হানে।
রুমাইতা গাড়িতে ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জ যাচ্ছিল। পথিমধ্যে তাদের গাড়িটি সিএনজি পাম্প স্টেশনে এক ধরনের জ্বালানি নেওয়ার জন্য থামে। তাদের বাসায় রান্নার জন্য জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত উপকরণের সঙ্গে সে এর মিল খুঁজে পেল। সে যাওয়ার পথে বাস থেকেই লক্ষ করলো একজন লোক দা, বটি তৈরির জন্য কালো বর্ণের আর এক ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করছে।
ফারজানা কয়েক বছর পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে গেল। সে যখন তার দুই বছরের ভাইয়ের ছেলেকে লক্ষ করে তখন দেখতে পায় তার চোখের পাতা ফোলা, জিহ্বা লম্বা। তার কাছে ছেলেটিকে স্বাভাবিক মনে হলো না। পরবর্তী দিন গ্রামে ঘুরতে বেরিয়ে চাচার বাড়ি গেল। চাচীকে সে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পায়। ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেছেন, চাচীর লোহিত রক্তকণিকাগুলো কাস্তের মতো আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে চাচার মানসিক ভারসাম্য নেই। ফারজানা চিন্তা করলো, চাচার বয়স মাত্র ৪৫ বছর।