বাংলাদেশি হলেও তুলির জন্ম আমেরিকায়। বাংলাদেশে বেড়াতে এসে তুলি দাদার সাথে ভোট দিতে যান। তার দাদা সকল প্রার্থীর মধ্য থেকে একজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই করেন। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক হলেও দরিদ্র রোগীদের স্বল্প ও বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেন। হাসপাতালের আয় থেকে তিনি সরকারের প্রাপ্য যথাসময়ে পরিশোধ করেন।
জনাব 'ক' তার দেশের শাসন বিভাগের প্রধান। তাকে তার পদে নির্বাচিত হতে তার দেশের আইনসভার সর্বাধিক সংখ্যক সদস্যের সমর্থন পেতে হয়। তার সরকারের সকল কাজ তার নামেই পরিচালিত হয়। জনাব 'খ' তার দেশের প্রধান না হলেও মূলত তিনিই তার দেশের প্রকৃত শাসক। তাকেও তার পদে নির্বাচিত হতে হলে তার দলের অধিকাংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয়। তিনি কোনো কারণে পদত্যাগ করলে তার সরকার বাতিল হয়।
সচ্ছল পরিবারের প্রস্তাব পেয়ে মতি মিয়া তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বিয়ে দেওয়ার সময় মহাজনের কাছ থেকে টিপসই দিয়ে পঞ্চাশ টাকা ধার নেয়। বছর শেষে মহাজন তার বাড়ি, ঘর এবং একমাত্র জমি দখল করে নেয়। তার মেয়ে চুক্তিপত্র পড়ে দেখে যে সেখানে পাঁচ লক্ষ টাকা লেখা রয়েছে। এতো টাকা পরিশোধ করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে বাড়ি হারিয়ে সে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এদিকে কয়েক বছর যেতে না যেতেই সেলিমা চার সন্তানের দেয়। এতগুলো সন্তানের সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে না পেরে সে তার অবস্থার জন্য মতি মিয়াকেই দায়ী করে।
'A' রাষ্ট্রের অধিবাসী সবাই মিলে সেই দেশের সরকার নির্বাচন করে। এ কাজটিকে তারা অত্যন্ত আনন্দের সাথে উৎসবের মতো পালন করেন। তাদের মতামতের ওপর ভিত্তি করেই সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। 'B' রাষ্ট্র অনেকগুলো অঞ্চল নিয়ে গঠিত। সকল অঞ্চলের উন্নতির অর্থে 'B' রাষ্ট্রের উন্নতি। প্রত্যেক অঞ্চলের পৃথক সরকার থাকলেও আবার সকলে মিলে একটি রাষ্ট্রের অধিবাসী ।
রহমান সাহেব ছোটবেলা থেকে সমাজের নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সে বড় হয়ে লক্ষ করে ঐ সকল নিয়মনীতিই মূলত মানুষের খারাপ কাজকে নিয়ন্ত্রণ করে। মানুষ যদি সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলে তাহলে অপরাধ কম হয় এবং বিভিন্ন বিচারকার্যের সম্মুখীনও তাকে হতে হয় না। অপরদিকে, ওসমান সাহেব তার নির্বাচনি এলাকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য নিয়মাবলি তৈরি ও পুরাতন নিয়মাবলিকে যুগোপযোগী করেন।
সোনালী বিদ্যানিকেতনের ৮৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে 'সূচনা' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। যেভাবে তারা এ সংগঠনটি পরিচালিত করতে চায় তার কোনো নিয়মকানুন লিপিবন্ধ আকারে রাখে না। কোনো ঝামেলার সৃষ্টি হলে নিজেরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে থাকেন। অন্যদিকে, রতনগড় উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯০, ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন লিপিবদ্ধ আকারে প্রকাশ করে তার ভিত্তিতে 'সূর্যোদয়' নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলে। কিন্তু দেখা যায় তারা হঠাৎ কোনো প্রয়োজনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাদের সাংগঠনিক নিয়ম-নীতি লিপিবদ্ধ আকারে তাই চাইলেও সহজে তা তাৎক্ষণিক পরিবর্তনও করতে পারেন না ।