রিতা ও মুক্তি একই সাথে সন্তানসম্ভবা হয়। রিতার শাশুড়ি কুসংস্কারাচ্ছন্ন। তিনি রিতাকে কম পরিমাণে খেতে দেন এবং ডাক্তারের কাছে যেতে নিরুৎসাহিত করেন। রিতার সন্তান জন্মের সময় খিঁচুনি ও তীব্র মাথাব্যথা ইত্যাদি জটিলতা দেখা দেয়। অন্যদিকে মুক্তি এই সময় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি পরিমাণে সুষম খাবার খায় এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করায়।
রাকিবের বয়সের শিশুরা অনেক আগে থেকেই স্কুলে যাওয়া শুরু করেছে। ভর্তির জন্য রাকিবকে তার বাবা এ বছর স্কুলে নিয়ে গেলেন। প্রধান শিক্ষক রাকিবের কাছে নাম জিজ্ঞেস করলেন। রাকিব কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। বরং ক্রমাগত নিজের হাতের আঙ্গুল সঞ্চালন করে যাচ্ছিল। টিফিন পিরিয়ড়ে অন্যান্য শিশুরা তার হাত ধরে মাঠে খেলতে নিয়ে যেতে চাইলে সে নিজেকে গুটিয়ে রাখল। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি লক্ষ করে বললেন যে, রাকিবের উন্নয়নে পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব অনস্বীকার্য।
কৌতূহলী হয়ে স্কুল ছাত্র লিটন ও তার চার বন্ধু একটি সিরিঞ্জ দিয়ে মাদক নিল। এখন সে অসুস্থ। তার ওজন অনেক কমে নিরূপণ কর। গেছে। মুখে যা হয়েছে ও প্রতিদিনই জ্বর থাকছে। রোগ শনাক্ত হবার পর প্রতিবেশী বন্ধুরা তাকে একঘরে করল। শিক্ষক ঘটনা জানতে পেরে সবাইকে বুঝিয়ে বললেন, “লিটনের প্রতি সমাজ ও পরিবারের সবারই দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে"।
দশ বছর বয়সের ছেলে ফয়সাল মিষ্টি, দুধ, দই, পুডিং খেতে পছন্দ করে। তার মা রাবেয়া বেগম ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। নিচের ছকে তার পরিবারের এক দিনের মেন দেওয়া হলো :
সকাল | দুপুর | বিকেল | রাত |
ময়দার পরোটা, সুজির হালুয়া,আম/কলা,সবজি ভাজি | ভাত, মাছের তরকারি, পালংশাক ডাল | চা/কফি, দুধের পায়েস,মুড়ি / টোস্ট বিস্কুট | গরু/খাসীর মাংস ভুনা, মিশ্র সবজি |
আফজাল একজন দরিদ্র চাষি। তার বাড়ির পাশে দুটি আমগাছ আছে। বাড়ির কাছের ফাঁকা জায়গায় সে সবজির চাষ করে থাকে। সে আম দিয়ে আচার ও মোরব্বা বানায়। সবজি রোদে শুকিয়ে রাখে। এসব বিক্রি করে সে সংসার চালায়। কিছু দিন পর মোরব্বা ও আচারের উপর ফেনা দেখা যায় এবং টক টক গন্ধ বের হয়। তাই শুধু শুকনো সবজি বিক্রির টাকায় তাকে সংসার চালাতে হচ্ছে।
কোনো এক গ্রামের লোকজন যে পুকুর থেকে খাওয়ার পানি নিচ্ছে, সেই পুকুরেই থালা, বাটি, কাপড় ধোয়াসহ গোসল করছে। ফলে গ্রামবাসীদের মধ্যে ডায়রিয়া মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছে। রহিমের বন্ধু কামাল গ্রামেই মসলা ও তেলের ব্যবসায় করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে রহিম এগিয়ে এসেছে। ভেজাল দ্রব্য মেশানোতে সে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।