হাসান সাহেব গত বছর একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তখন তার শরীরে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তার প্রায়ই জ্বর আসে। ঠিকমতো ঘুম হয় না। সব সময় শুকনো কাশি থাকে। এই অবস্থায় ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার রোগ শনার করেন। তারপর থেকে পরিবারের লোকজন তার সাথে কথা বন্ধ করে দিয়েছে। সমাজের লোকজনও তাদেরকে একঘরে করে দিয়েছে।
রেবা বাজার থেকে মাছ, মাংস, কাঁচা আম কিনে আনলেন। তিনি মাছ রান্না করার জন্য টেবিলে রাখলেন। মাংস প্যাকেট করে ১ ফ্রিজে রাখলেন। কাঁচা আম দিয়ে আচার তৈরি করলেন। অনেকটা ২ সময় পরে মাছ রান্না করতে গিয়ে দেখেন, মাছ নরম হয়ে গেছে এবং কটু গন্ধের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু মাংস এবং আচার বর্ণ, গদ্য ও স্বাদে সম্পূর্ণ খাবার উপযোগী আছে।
জামিল সাহেব বাজারে গিয়ে দেখলেন মাছ নেই। একজন বিক্রেতা বললেন, মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক বা পাতা বাজার থেকে সমস্ত মাছ তুলে নেয়া হয়েছে। জামিল সাহেব মনে করেন, আমাদের দেহের সুস্থতার জন্য ভেজালবিরোধী এই অভিযান। খুবই কার্যকরী। স্ত্রী রাবেয়া তাকে সমর্থন করে বলেন, “স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে খাদ্য সরবরাহ করতে হলো এর থেকে পরিবেশন পর্যন্ত প্রতিক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।”