AT লিমিটেড একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান। এ কাজে ব্যবহৃত কেমিক্যাল এবং বর্জ্যসমূহ বুড়িগঙ্গা নদীতে গিয়ে মিশে। প্রতিষ্ঠানটি নদীর পানি, মাটি ও পরিবেশের কথা ভেবে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এজন্য তাদের ২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। প্রতিষ্ঠানটি মূলধন সংগ্রহের জন্য এমন উৎসের কথা বিবেচনা করছে যেখান থেকে কর সুবিধা পাওয়া যাবে এবং মূলধন সরবরাহকারিগণ কোম্পানির প্রকৃত মালিক হতে পারবে না।
মি. ফাহমিদ একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী। তিনি দেখলেন বাজারে LB কোম্পানির স্থির আয় ও জামানতযুক্ত মেয়াদি সিকিউরিটি আছে, যা ক্রয় করলে আয় প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবার আগে অগ্রাধিকার পাওয়া যাবে কিন্তু কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করা যাবে না। অন্যদিকে, একই রকম আয় ও মেয়াদযুক্ত সরকারি সিকিউরিটি বাজারে বিক্রয় হয় যার ঋণ জামানত নেই। মি. ফাহমিদ জামানত না থাকার কারণে সরকারি সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ না করে LB কোম্পানির সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ করেন।
জনাব ফয়সাল একটি বাড়ি করতে চান। বর্তমানে বাড়িটি তৈরি করতে ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাঁর হাতে বর্তমানে মাত্র ২২ লক্ষ টাকা আছে। অর্থের ঘাটতির কথা চিন্তা করে তিনি AB ব্যাংকে ঐ ২২ লক্ষ টাকা ১০% সুদে জমা রাখলেন। উদ্দেশ্য ৫ বছর পর তিনি বাড়িটি নির্মাণ করবেন। অতীত অভিজ্ঞ থেকে ধরে নেওয়া হচ্ছে বাড়ি তৈরির নির্মাণসামগ্রীর বাৎসরিক মূল্য বৃদ্ধির সাধারণ হার ৩%
মি. নোমান এর নিকট ১,০০,০০০ টাকা আছে। তিনি উক্ত অর্থ ১০% সুদের হারে ৫ বছরের জন্য প্রাইম ব্যাংকে জমা রাখতে চাচ্ছেন। নোমানের ভাই তাকে মৎস্য চাষ করতে বললেন। সেখান থেকে আগামী ৫ বছর যথাক্রমে ২৫,০০০, ২৮,০০০, ২২,০০০, ২৫,০০০ এবং ৫০,০০০ টাকা পাওয়া যাবে। বিকল্প হিসেবে তার বন্ধু তাকে পোল্ট্রি ফার্ম দিতে বললেন। যেখান থেকে আগামী ৫ বছর প্রতি বছর শেষে ৩০,০০০ টাকা করে পাওয়া যাবে। উভয় ক্ষেত্রে মি. নোমানের প্রত্যাশিত আয়ের হার ১০%।
BF লি. একটি চেয়ার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের উৎপাদিত প্রতিটি চেয়ার ৪৫০ টাকা করে বিক্রয় করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সারা বছরে মোট স্থির ব্যয় হয় ১৮,০০,০০০ টাকা এবং প্রতিএকক পণ্যের জন্য পরিবর্তনশীল ব্যয় ২০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৩,০০০টি চেয়ার বিক্রয় করে ১২,০০,০০০ টাকা মুনাফা করতে চায়। উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠানটি বাজার প্রতিযোগিতার কথা বিবেচনা করে প্রতি ইউনিটের বিক্রয়মূল্যের কোনো পরিবর্তন করতে চায় না।
SP লি. এর মূলধন কাঠামো নিচের ছকে দেওয়া হলো-
মূলধনের উৎস | টাকা |
সাধারণ শেয়ার মূলধন | ৪,০০০ |
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার | ১,০০০ |
১৪% ডিবেঞ্চার | ৩,০০০ |
মোট মূলধন | ৮,০০০ |
কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে বাজারে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা ধারণা করা হচ্ছে যে, কোম্পানিটি আগামী বছর প্রতি শেয়ারে ২ টাকা করে লভ্যাংশ প্রদান করবে যেটা সবসময় ৭% হারে বৃদ্ধি পাবে। কোম্পানির কর হার ৫০%।
জনাব মোশাররফ একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। তিনি এর আগে কখনই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেননি। তার কাছে বর্তমানে ২,০০,০০০ টাকা আছে। তিনি এই টাকাটি বিনিয়োগ করতে চান। তুমি ফিন্যান্স বিষয় নিয়ে পড়াশুনা কর জেনে তিনি তোমার পরামর্শ নিতে চাচ্ছেন। তুমি বাজার অনুসন্ধান করে মাত্র তিনটি সিকিউরিটি পছন্দ করলে যাতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। নিকিউরিটিগুলোর আয়ের হার এবং আদর্শ বিচ্যুতির পরিমাণ নিম্নরূপ--
সিকিউরিটি | প্রত্যাশিত আয় | আদর্শ বিচ্যুতি |
A | ১২% | ৩.১% |
B | ১২.৫% | ৩.২% |
C | ১৩% | ৩.৫% |
তুমি FC লি. নামক একটি ঔষধ কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে তোমার কোম্পানি MB লি. এর নিকট হতে ২.৫/১৫ নিট ৬০ শর্তে ধারে কিছু পণ্য। ক্রয় করেছে। তুমি বাট্টার সুযোগ গ্রহণ করার জন্য ব্যাংক হতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছ। ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১৮%। পরবর্তীতে MB লি. পণ্যের মূল পরিশোধের সময় ১০ দিন বৃদ্ধি করে।