জনাব শাদীদ বিসিক (BSCIC) থেকে হস্তশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে পাটজাত ব্যাগ ও গৃহসজ্জার পণ্য তৈরি শুরু করেন। উদ্ভাবনী শক্তি ও নৈপুণ্যের কারণে তার উৎপাদিত পণ্য ভোক্তাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়তা পায়। চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তার প্রতিষ্ঠানে নতুন ৪০ জন কর্মী নিয়োগ দেন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায় সম্প্রসারণ করেন। শাদীদ পাশাপাশি অনলাইনেও টেলিভিশনে পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানোর ব্যবস্থা করেন। এতে তার পণ্যের চাহিদা আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি সেখানে পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হচ্ছেন।
বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। আশির দশকের শুরুতে জনাব আওলাদ বাংলাদেশের জনসম্পদকে কেন্দ্র করে ঢাকায় একটি পোশাক কারখানা গড়ে তোলেন, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানো। আশির দশকের মাঝামাঝি জনাব আওলাদ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তার তৈরি পোশাক বিক্রি করেন। ক্রমান্বয়ে তার তৈরি পোশাক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। জনাব আওলাদ যুক্তরাষ্ট্রে বসে তার কারখানায় নিয়োজিত জনাব সেজাদকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পোশাক উৎপাদনের নির্দেশ দেন। জনাব সেজাদ কারখানার কর্মীদেরকে দিয়ে পোশাক উৎপাদন করে জনাব আওলাদ বরাবর প্রেরণ করেন। জনাব আওলাদ একের পর এক তৈরি 8 পোশাকের নতুন বাজারের দ্বার উন্মুক্ত করেন।
জনাব আরেফিন, ক ও খ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত। ক প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স এবং খ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনপত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল। মেয়াদ শেষে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক জনাব আরেফিনকে নোটিশ প্রদান করে। খ এর ক্ষেত্রে মালিক আরেফিনের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সচ্ছল।
শফিক, আজিম ও রনি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি গৃহনির্মাণ ফার্ম গঠন করার পরিকল্পনা করে। তারা উক্ত ফার্মে প্রকৌশলী রফিকের সুনাম ব্যবহার করার জন্য তাকে অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে। চুক্তি অনুযায়ী তিনি উক্ত ব্যবসায়ে মূলধন, শ্রম বা দক্ষতা কিছুই বিনিয়োগ করেন না কিন্তু মুনাফা ভোগ করেন এবং তিনি ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত দায় বহন করবেন। তিন বছর পর আজিম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার ১৫ বছর বয়সী সন্তান তামীমকে তারা অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দশ লক্ষ টাকা দায় সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও মূলধনসহ মোট দুই লক্ষ টাকা দায় মিটানো সম্ভব। অবশিষ্ট দায় মিটানোর জন্য শফিক ও রনি দুই লক্ষ টাকা করে চার লক্ষ টাকা প্রদান করে এবং জনাব রফিক ও তামীমকে দুই লক্ষ টাকা করে প্রদান করার জন্য চিঠি দেন
মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে এমন একটি ব্যবসায় সংগঠন গঠন করার জন্য পরিকল্পনা করে যাতে জনগণ থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা সম্ভব। তাই তারা প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে একটি সনদ ইস্যু করেন। কিন্তু ব্যবসায় শুরু করার জন্য আরও দলিলপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করত হবে।
বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস চালু করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যাতে পর্যটকগণ নিরাপদে ও আরামে কক্সবাজার যেতে পারে। অপরদিকে সরকার নিজস্ব বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস দেয়ার জন্য একটি নতুন ব্যবসায় গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ইলিয়াছ এমন একটি নতুন প্রযুক্তির যন্ত্র উদ্ভাবন করেন, যা দিয়ে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা ফ্রিজ চালানো যায়। তিনি এ যন্ত্রটি VOLTA' নাম দিয়ে বাজারজাত করেন। 'VOLTA' নাম ও চিহ্নটি তিনি একটি বিশেষ আইনে নিবন্ধন করেন। 'VOLTA' ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করায় বগুড়ার সানোয়ার 'VOLTA' নামে একই ধরনের যন্ত্র তৈরি করে বাজারে বিক্রয় শুরু করে । অপরদিকে সিলেটের নাসির 'ELECTRO' নাম দিয়ে একই প্রযুক্তির যন্ত্র তৈরি করে বাজারজাত করছে। ইলিয়াছ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনজীবীর পরামর্শ চান। আইনজীবী অভিমত দেন যে সানোয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত প্রতিকার পাওয়া গেলেও সীমাবদ্ধতার কারণে নাসিরের বিরুদ্ধে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হবে না।
দোহাজারীর আলুচাষি নাসির আরও ৪০ জন আলুচাষি নিয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। তাদের উদ্দেশ্য হলো প্রয়োজনীয় সার বীজ, কীটনাশক ক্রয়ে এবং আলু সংরক্ষণ ও বিক্রয়ে সুবিধা লাভ করা। উক্ত সমবায় গঠনের চড়ান্ত পর্যায়ে সমবায় নিবন্ধক তার সিল ও স্বাক্ষরযুক্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল নাসিরকে প্রদান করেন। উক্ত দলিলে সমিতির মোট শেয়ার সংখ্যা ১,০০০ উল্লেখ আছে। নাসির ২০০ শেয়ার ক্রয় করেন। আগামী নির্বাচনে সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার জন্য তিনি আরও শেয়ার ক্রয়ের পরিকল্পনা করছেন।
ক, খ, গ তিন বন্ধু। ক তার হ্যাচারিতে আলো, তাপ ও বায়ু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা পেয়ে থাকেন। গ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ । তিনি তথ্য লিখন ও প্রক্রিয়াকরণের ব্যবসায়ে নিয়োজিত। খ, ক-এর হ্যাচারি থেকে পণ্য সংগ্রহ করেন। খ উক্ত পণ্যের চাহিদা, মূল্যস্তর, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য গ- এর নিকট থেকে সংগ্রহ করে উক্ত পণ্য সারাদেশে সরবরাহ করে থাকেন
জনাব সোবহান ‘একের ভিতর তিন' নামে একটি নতুন কলম বাজারে চালু করেন। যেখানে একই কলম দিয়ে লাল, সবুজ ও কালো রঙের কালি দিয়ে লেখা সম্ভব। কলমটির বাজারে ব্যাপক চাহিদা আছে। কারখানার যন্ত্রপাতির উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কর্মীদের আচরণকে প্রভাবিত করে উৎপাদনমুখী করে পর্যাপ্ত পরিমাণ কলম উৎপাদন করতে না পারায় তিনি বাজারের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হন। কোরবান নামক একজন ব্যবসায়ী সোবহানের বিনা অনুমতিতে উত্ত পণ্য উৎপাদন শুরু করেছেন।
জনাব আজাদ সাংগু ব্যাংক, ঢাকা শাখায় একটি হিসাব খুলেছেন। তিনি উক্ত হিসাবে লেনদেনের সময় কাগুজে ডকুমেন্ট যেমন: রশিদ, চেক ব্যবহার করেন। তার হিসাবে সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ জমা থাকে। জনাব মজিদ কুশিয়ারা ব্যাংক রংপুর শাখায় একটি হিসাব খোলেন। তিনি ব্যাংক লেনদেনে কোনো কাগুজে ডকুমেন্ট ব্যবহার করেন না। তারা দুজনই স্বপরিবারে কক্সবাজারে বেড়াতে গেলেন যেখানে দুটি ব্যাংকেরই শাখা আছে। দুজনই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক শাখায় টাকা উত্তোলন করতে গেলেন। মজিদ যথাযথভাবে উত্তোলনে সমর্থন হন। আজাদ যথাযথ নিয়ম মেনে চেক উপস্থাপন করলেও অন্য শাখার চেক হওয়ায় ব্যাংক তাকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে ব্যর্থ হন।