রিফাত ও সিফাতের মা মরিয়ম তার দুই সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত। তারা দুই জন দুই প্রকৃতির। বড় ছেলে রিফাত অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক ও রক্ষণশীল। সে নতুন পরিবেশে সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারে না। অপরদিকে ছোট ছেলে সিফাত খুবই সক্রিয় এবং স্বাধীনচেতা। সকল কাজেই সে অংশ নিতে চায়। অন্যের প্রয়োজনে সে জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকে। সিফাতের অস্থিরতা, চঞ্চলতা, মেজাজী প্রকৃতির কারণে তার মা মরিয়ম প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকে ।
নিম্নবিত্ত এলাকায় বেড়ে ওঠা ওয়াসিম সামান্য হাসি ঠাট্টাতে রেগে যায়। সে তার মতামতকে ভুলের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে। তার মতামতের বিরোধিতা করলে সেটাকে ভ্রান্ত ও শাস্তিযোগ্য বলে মনে করে। তার একগুঁয়েমির কারণে। অন্যের সাথে প্রায়ই বিবাদে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ওয়াসিমের বাবা তাকে তিরস্কার করে বলেন, সমাজে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোরতা পরিহার করে বিকল্প পদ্ধতিতে অন্যের সমর্থন লাভ করা যায়।
জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জের একটি পাটকলের কর্মচারী। প্রতি বছর তারা পাটকল থেকে পিকনিকে যায়। এ বছর তারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে সকাল ৭ টার দিকে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। ড্রাইভার বলেন গাড়ি মেরামত করতে ৮/১০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে সবাই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাওয়ার কথা ভাবতে থাকেন ।
মারুফ সহজ-সরল জীবনযাপন করে। সে সৃষ্টি জগতের রহস্য খুঁজে বেড়ায় এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিয়োজিত থাকে। নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকে। সমাজের লোকজন তাকে ভাল মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা করে। মারুফের বন্ধু রহিম অত্যন্ত হিসাবী লোক । প্রতিটি কাজের মধ্যে সে লাভ-ক্ষতি হিসাব করে। নিজের প্রয়োজনের বাইরে কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করে না। সমাজের লোকজন তাকে একজন স্বার্থপর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
৮ বছর বয়সের ইমন তার ৪ বছরের ছোট ভাই ইলহামের সাথে খেলতে পছন্দ করে। স্কুলে সে তার বন্ধুদের সাথে মিশতে পারে না। অপরদিকে ইলহাম তার থেকে বয়সে বড়দের সাথে সহজে মেলামেশা ও খেলাধুলা করতে পারে। ইমন ও ইলহামের বাবা-মা তাদেরকে মনোবিজ্ঞানীর নিকট নিয়ে গেলে তিনি অভীক্ষা প্রয়োগ করে দেখতে পান ইমন ৬ বছর বয়সের অধিক বয়সের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। ইলহাম ৫ বছর বয়সের সবকটি এবং ৬ বছর বয়সেও দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ইমনকে স্বল্পবুদ্ধি ও ইলহামকে প্রতিভাবান বলে রিপোর্ট প্রদান করেন