রবিন এ বছর একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখায় ভর্তি হয়েছে। তার দাদা ছিলেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও জনপ্রতিনিধি। তার বাবা রহমান সাহেবও বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য। তার ইচ্ছা রাজনীতি ও জনসেবার মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা। তাই সুযোগ পেলেই সে তার বাবার সাথে নাগরিক অধিকার, রাষ্ট্র, সংবিধান ও সুশাসন বিষয়ে আলোচনা করে। ছেলের আগ্রহ দেখে রহমান সাহেব এ বিষয়ে আরো জ্ঞান অর্জনের জন্য রবিনকে নাগরিকতা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি পাঠ্য হিসাবে নেয়ার পরামর্শ দেন।
মি. আলম একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। সৎ ও দক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে তার ব্যবসা দিন দিন বাড়তে থাকে। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেন এবং শ্রমিকদের কল্যাণে একটি তহবিলও গঠন করেন। তিনি তার এলাকার বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক। তিনি রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং নিয়মিত কর দেন। সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যাপারেও তিনি বেশ আন্তরিক। তার এলাকায় তিনি একজন ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত।
সহপাঠী ইমন ও সুমন পাঠ্যবইয়ের একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা। করছিল যা আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিটি ক্ষেত্রে জড়িত। এটি ব্যক্তির আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে, সমাজ ও রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এবং জনকল্যাণে অপরিহার্য। রাষ্ট্রের সকল নাগরিকের এ বিষয়ের জ্ঞান থাকলে কেউ কারো অধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করবেনা।
গ্রামের মেয়ে মনীষা এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায়। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে না গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করে এবং প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার পর দিন এসএমএস দিয়ে জানানো হলো যে, সে ভর্তি পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। রাষ্ট্রের এ ধরনের সেবা পেয়ে তার মা-বাবা ভীষণ খুশি।
জনাব 'ক' একজন মুক্তিযোদ্ধা ও একটি রাজনৈতিক সংগঠনের জনপ্রিয় নেতা। বিগত ২টি জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। উদার, নিরপেক্ষ ও সহনশীল আচরণ দ্বারা তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক কর্মীদের সাথেও সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। ফলে তাঁর এলাকায় কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই। তাছাড়াও এলাকার বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটে সবসময় জনগণের পাশে থাকেন। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সকল মানুষের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। দলের (ক) (খ) (গ)
মিঃ রিচার্ড 'ক' রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে নির্বাচিত গভর্নরের নেতৃত্বে ৩০টি আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসিত সরকার রয়েছে। মিস ক্যাধি য রাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী, এদেশেও কিছু প্রদেশ রয়েছে। কিন্তু এই প্রদেশগুলোর সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন।
উমং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দা, তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। একদিন তিনি শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার পর এলাকার লোকজন তাদের দুঃখ দুর্দশার কথা জানালেন। এর পর উমং স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যার কথা জানিয়ে ব্যর্থ হলেন, তারপর তিনি দাবি আদায়ের জন্য এমন একটি সংগঠনে যোগদান করেন, যেটি জনগণের সমস্যাঁ সমাধানের জন্য বৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে।
নাফিজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। মানুষের নিপীড়ন তাকে দুঃখ দেয়। যখন শত্রুরা ১২০০ মাইল দূর হতে এসে অসহায় মানুষকে আক্রমণ করেন। তখন সে শপথ করে, “আমি দেশকে মুক্ত করব।” তাই মাতৃভাষাকে বাঁচাতে ৮। এবং অর্থনৈতিক শোষণ দূর করতে সে যুদ্ধক্ষেত্রে গেল। দেশ স্বাধীন হলো, কিন্তু নাফিজ তার মায়ের কাছে ফিরে এলো না ।