জাকির হোসেন বিবিএ অনার্স পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে বাড়িতে ফিরে নিজেদের তিন বিঘা আয়তনের পুকুরটি সংস্কার করেন। এরপর তাতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্তরভিত্তিক মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরের পানির উপরের স্তর, মধ্যম স্তর এবং নিম্ন স্তরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ঘ. প্রজাতির মাছ চাষ করেন। বর্তমানে জনাব জাকির একজন জনপ্রিয় ও সফল মাছ চাষি। তার এ কার্যক্রম এখন অনেকেই অনুসরণ করছে।
শেরপুরের হাবিব স্থানীয় তাল, বাঁশ ও খেজুর গাছের ওপর ভিত্তি করে ‘রূপসী বাংলা' নামে একটি কুটির শিল্প গড়ে তুলেছেন। তার শিল্পে উৎপাদিত পাখা, টুপি, পাট ও খেলনা সামগ্রী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। তার উৎপাদিত পণ্য বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি কারখানাটি সম্প্রসারণের জন্য চেষ্টা । চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু মূলধন সংকটের কারণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছেন না ।
রংপুরের মিতালী দত্ত নাটোর ও পাবনা থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুঁটকি তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। ঋঋণের জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারছেন না। তার এক বন্ধু তাকে একটি ব্যাংকের নাম বলে যেখানে তার মতো ব্যবসায়ীদের জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি ঐ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে সফল হোন এবং ব্যবসায় সম্প্রসারন করতে সক্ষম হোন।
মি. সাব্বির ‘এবিসি’ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সকল লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম প্রবর্তন করেন। হিসাব সংক্রান্ত গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য চিঠিপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের বদলে ই-মেইল ও মোবাইলে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উন্নত গ্রাহক সেবার কারণে তার ব্যাংকের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
মি. রহমান একজন কাঁচামাল ব্যবসায়ী। ঢাকার কাওরান বাজারে তার আড়ত রয়েছে। তিনি নিজেই তার ব্যবসায়ের যাবতীয় কাজ তদারক করেন। তিনি কখনও আম, কাঁঠাল, তরমুজ বিক্রি করেন। আবার কখনও আনারস, আপেল ও খেজুর বিক্রি করেন। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ফল ব্যবসায়ীদের নিকট তিনি একজন জনপ্রিয় ব্যবসায়ী। তিনি সবসময় একটি নীতি মেনে চলেন, তা হলো 'সৎ ব্যবসায়ী সবসময়ই সুখী।'
রফিক, শফিক ও করিম একটি অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য। রফিক ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগ করেন ও ব্যবসায় পরিচালনায়ও অংশগ্রহণ করেন। শফিক মূলধন বিনিয়োগ করেন কিন্তু পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন না। করিম মূলধন বিনিয়োগ করেন না আবার পরিচালনায় অংশ নেন না। তবে ব্যবসায়ে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। হঠাৎ রফিক মস্তিষ্ক বিকৃতির কারণে কর্তব্য পালনে স্থায়ীভাবে অসমর্থ হন ।
মি. সাত্তার একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করেন। তিনি তিস্তা ব্যাংক লিমিটেডের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। সকল সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকলেও তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন ।
গ্যালাক্সি লি.-এর কয়েকজন প্রকৌশলী বিশেষ এক ধরনের কাঁচ উদ্ভাবন করেছেন। এ কাঁচ ভবনের দরজা বা জানালায় ব্যবহার করলে তা একইসাথে সৌর বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করবে। এ বিদ্যুৎ যেকোনো কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানটি এ কাঁচ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের একক অধিকার পেতে চায়। তারা এ বিষয়ে সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে।
ঢাকার মিরপুর এলাকায় মেঘনা সমবায় সমিতি ও আশার আলো নামে দুটি সমবায় সমিতি রয়েছে। মেঘনা সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের তৈরি করা খেলনাসামগ্রী একত্র করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে। এতে অত্র এলাকার মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে আশার আলো সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরাসরি কোম্পানি থেকে কিনে এনে নিজেরা বণ্টন করে নেয়।