মি. রাকিব একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বিভিন্ন খাতে, যেমন : টেক্সটাইল, ভোগ্যপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল, স্টীল ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করেন। গত বছর তিনি একটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেছিলেন। ব্যবসায় শুরু করার জন্য তার ৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন ছিল। তাঁর নিয়োগকৃত আর্থিক ব্যবস্থাপক তাঁকে দ্রুত বিনিয়োগ ফেরত পাওয়া এবং মুনাফা সর্বোচ্চকরণের ব্যাপারে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু মি. রাকিব আর্থিক ব্যবস্থাপকের পরামর্শ গ্রহণ করেননি। তার মূল লক্ষ্য ছিল সম্পদ সর্বোচ্চকরণ মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয়। তিনি এ লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনে কিছু মুনাফা ত্যাগ করতেও প্রস্তুত ছিলেন।
রফিক ও ফারুক দুই বন্ধু। তারা দুজনেই বাংলাদেশের নাগরিক। দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি তারা দুজনেই বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছে। রফিক তাঁর অর্জিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। অন্যদিকে ফারুক বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে যুক্ত হয়েছে। কিন্তু সে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করেনি। এই কারণে আইন প্রয়োগকারী বাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছে।
নুর একজন কৃষক। তার কাছে বিনিয়োগের জন্য ১,০০,০০০ টাকা আছে। তার ভাই তাকে মাছ চাষ করার পরামর্শ দেয়। যেখান থেকে আগামী ৫ বছর যথাক্রমে ২৫,০০০, ২৮,০০০, ২২,০০০, ২৫,০০০, ৫০,০০০ টাকা পাওয়া যাবে। অন্যদিকে তার বন্ধু পোল্ট্রিফার্ম দিতে বলে, যেখান থেকে আগামী ৫ বছর প্রতিবছর শেষে ৩০,০০০ টাকা করে পাওয়া যাবে। উভয়ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত আয়ের হার ১০%।
সিঙ্গার কোম্পানি লি. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি উৎপাদন ও , বিক্রয় করে। কোম্পানিটির কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো-
বার্ষিক বিক্রয় – ৬০,০০০ একক
কারখানা ভাড়া (বাৎসরিক) - ৮০,০০০ টাকা
গোডাউন ভাড়া (বাৎসরিক) – ৬০,০০০ টাকা
অফিস ভাড়া (মাসিক) - ৫,০০০
এককপ্রতি বিক্রয়মূল্য- ৪০
এককপ্রতি পরিবর্তনশীল ব্যয় - ২০
কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক এককপ্রতি বিক্রয়মূল্য ২৫% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিডি ফুডস প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী বাজারজাত করে। বাজারে বার্ষিক চাহিদা ১,২০,০০০ প্যাকেট এবং প্রতি প্যাকেটের ক্রয়মূল্য ২২ টাকা। ফরমায়েশ প্রতি বায় ৮০ টাকা। বহন খরচ প্রতি একক ২ টাকা। ব্রুয়াদেশ প্রদানের পর গুদামে পণ্য পৌঁছাতে ৪ দিন সময় লাগে। কোম্পানি তাৎক্ষণিক ক্রেতা চাহিদা মেটাতে ১,২০০ প্যাকেট পণ্য মজুদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোম্পানির মোট কার্য দিবস ৩০০ দিন। মজুদ ব্যবস্থাপক ২০০০ প্যাকেট পণ্য মজুদ থাকা অবস্থায় পুনঃফরমায়েশ প্রদান করেন।
ABC লিমিটেডের মূলধন কাঠামো নিচে ছকে দেওয়া হলো-
মূলধনের উৎস | মূলধন ব্যয় | মূলধনের পরিমাণ (টাকা) |
সাধারণ শেয়ার | ১৭% | ৪০,০০,০০০ |
অগ্রাধিকার শেয়ার | ১০% | ১০,০০,০০০ |
বন্ড | ১৪% | ৩০,০০,০০০ |
মোট মূলধন | ৮০,০০,০০০ |
ABC কোম্পানির আরও অতিরিক্ত ২০,০০,০০০ টাকা মোট মূলধন মূলধন প্রয়োজন। কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক অতিরিক্ত মূলধন ১৪% বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়। কোম্পানির করের হার ৪০%।
মি. রহিম একজন ব্যাংকার। তিনি সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে একটি এপার্টমেন্ট ক্রয়ের কথা চিন্তা করছেন। এপার্টমেন্টটি ক্রয় করতে তার ৮০,০০,০০০ টাকার প্রয়োজন। মি. রহিম এপার্টমেন্ট ক্রয়ের জন্য দুটি বিকল্পের কথা বিবেচনা করছেন। প্রথমত ৮০,০০,০০০ টাকা নগদে পরিশোধ করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত এপার্টমেন্ট মূল্যের ৫০% নগদে এবং বাকি টাকা ৪,৫০,০০০ টাকা সমান কিস্তিতি ১০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করে দেওয়া। মি. রহিমের সুযোগ ব্যয় হচ্ছে ১২% এবং তিনি ১ম বিকল্পটি গ্রহণ করেন।
মি. সাকিব অবসর গ্রহণ করার পর কোম্পানি হতে ১,০০,০০,০০০ টাকা পেলেন। তিনি এর মধ্যে ৫০,০০,০০০ টাকা দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন। তিনি মোট বিনিয়োগের ৬০% প্রকল্প 'A' তে এবং ৪০% প্রকল্প 'B' তে বিনিয়োগ করেন। বিভিন্ন অর্থনৈতিক অবস্থায় প্রকল্প দুটির আয়ের হার এবং সম্ভাবনা নিম্নে দেওয়া হলো-
মি. সাকিবের প্রত্যাশিত আয়ের হার ১৪%।