জনাব জায়েদ একজন শিক্ষক। তিনি লক্ষ্য করলেন তার ছাত্র রিয়াজ খুবই অমনোযোগী এবং প্রায়ই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। জনাব জায়েদ রিয়াজের মাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে বললেন। মনোবিজ্ঞানী ১ম পর্যায়ে রিয়াজকে বিভিন্ন রংয়ের কালি সম্বলিত কিছু কার্ড দেখান এবং কার্ডে কি দেখছে তা লিখতে বলেন। এ পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজকে ঠিকমতো বুঝতে না পেরে ২য় পর্যায়ে ভিন্ন কতগুলো অস্পষ্ট দ্ব্যর্থবোধক ছবি সম্বলিত কার্ড দেখান এবং কি দেখছে তার ভিত্তিতে গল্প লিখতে বলেন। এবার লিখিত গল্পগুলি ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজের সমস্যা বুঝতে পারেন ।
রিতা সত্য কথা বললে বাবা তাকে প্রস্তুত করে এবং মিথ্যা বললে তাকে শাসন করে। একসময় সে সত্যবাদী হয়ে উঠে। অপরদিকে রিতা এর বাবা তার দলের ব্যক্তিকে আগামী নির্বাচনে ভোট দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকদিন পর স্বতন্ত্রপ্রার্থী তার নিকট ভোট চাইতে আসলে রিতার বাবা তার সত্যতা ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে পূর্বের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনেন।
হামিদ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে রশিদ মিয়ার অনেকদিন যাবত বিবাদ চলছিল। এক পর্যায়ে বিবাদটি এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে ক্ষুব্ধ হামিদ মিয়া অপর পক্ষকে বললেন, “আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।” একথা শুনে রশিদ মিয়া চরম অপমান বোধ করেন এবং তার ভিতর রাগ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হামিদ মিয়ার উক্তির সময় তার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। তাই রশিদ মিয়াও ক্রোধে ঘোষণা করেন তিনিও সবকিছু দিয়ে এর মোকাবিলা করবেন।
ছেলেবেলা থেকে মিজানের স্বপ্ন সে প্রকৌশলী হবে। কিন্তু যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষায় সে কৃতকার্য হতে পারে না। এ অবস্থায় সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তার এ মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে তার বড় ভাই গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া করার কথা বলে। এতে সে অনুপ্রাণিত হয়ে তার ব্যর্থতার কারণ মূল্যায়ন করে এবং যথাযথ পদ্ধতি নিয়ে সে পুনরায় পরীক্ষা দেয় এবং সফলতা অর্জন করে।
জনাব ইসমাইল একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের শিক্ষণের উপর গণ্ডগোলের প্রভাব দেখার জন্য তার ক্লাসের ছাত্রদের জোড়-বিজোড় রোল নম্বর এর ভিত্তি সমান সংখ্যক ছাত্র দিয়ে “ক” এবং “খ” দল গঠন করেন। তিনি “ক” দলকে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশে এবং ‘খ’ দলকে গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্ব কতগুলো অর্থহীন শব্দ তালিকা মুখস্থ করতে দেন। পরীক্ষণ শুরুর পূর্বে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশের শিক্ষণ গণ্ডগোল পরিবেশের শিক্ষণের তুলনায় কম হবে বলে মন্তব্য করেন। পরীক্ষণ শেষে ফলাফল ইসমাইল সাহেবের মতামতের সাথে মিলে যায়।
আন্তঃকলেজ মেধা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ১৪ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র সজীব ও ফুয়াদের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচনের জন্য মনোবিজ্ঞানের শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। শিক্ষক তাদের উপর বুদ্ধি অভীক্ষা প্রয়োগ করেন। সজীবের বুদ্ধ্যঙ্ক ১০০ এবং ফুয়াদের মানসিক বয়স ১৫ বছর ২ মাস। সজীব বেশ চটপটে বলে শিক্ষক তাকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করেন। সজীব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৩য় স্থান অধিকার করে। কিন্তু ফুয়াদ মনে করে প্রতিযোগিতায় তাকে প্রেরণ করলে সে আরো ভালো ফলাফল করতে পারতো।