জনাব জাকির হোসেন বিবিএ অনার্স পাস করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। অবশেষে বাড়িতে ফিরে নিজেদের তিন বিঘা আয়তনের পুকুরটি সংস্কার করেন। এরপর তাতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে স্তরভিত্তিক মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরে পানির উপরের স্তর, মধ্যম স্তর এবং নিম্ন স্তরের জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। বর্তমানে জনাব জাকির একজন জনপ্রিয় এবং সফল মাছচাষী । তার এ কার্যক্রম এখন অনেকেই অনুসরণ করছে।
গনি মিয়া কৃষক পরিবারের কর্মঠ ছেলে। নদী বিধৌত পদ্মার পাড়ে তারা বাস করতো। জমিতে পলি থাকায় সেখানে প্রচুর ফসল উৎপন্ন হত। ফলে তারা সচ্ছল জীবিকা নির্বাহ করতো। বন্যায় নদী ভাঙ্গনের ফলে গত বছর গনি মিয়াদের ভিটেমাটিসহ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন। ব্যবসায় করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ব্যাংক ঋণ না পেয়ে সে ইটের ভাটায় কাজ করতো। পরবর্তীতে সরকারি নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে নদীভাঙ্গন এলাকায় সরকার ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে গনি মিয়াদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয় ।
জনাব শফিক তার নিজস্ব কারখানায় মানসম্মত চামড়ার জুতা উৎপাদন করে বিভিন্ন বৃহদায়তন শিল্প কারখানায় সরবরাহ করে থাকেন। তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার দুই বন্ধু শ্যামল ও সन উক্ত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। শফিকের উৎপাদিত জুতা মানসম্মত হওয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তা ব্যাপকভাবে সমাদৃত। তিনি তার বন্ধুদের সহযোগিতায় নিজস্ব তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে উৎপাদনকার্য পরিচালনা করেন। তিনি এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের পরিকল্পনা করছেন।
রংপুরের মিতালী দত্ত নাটোর ও পাবনা থেকে মাছ সংগ্রহ করে। 8 টাকি তৈরি করে তা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। ঋণের জন্য তিনি বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করলেও জামানত ছাড়া ঋণ নিতে পারেন না। তার এক বন্ধু তাকে একটি ব্যাংকের নাম বলে যেখানে তার মতো ব্যবসায়ীদের জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি ঐ ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে সফল হন এবং ব্যবসায় সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হন ।
জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু একত্রিত হয়ে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। আরিফ ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন
মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের হাত থাকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুমারখালীর । ২০১২ সালে ৫০ জন সদস্য একত্রিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। পরবর্তী তিন বছরে তাদের অর্জিত মুনাফার পরিমান যথাক্রমে ৬০,০০০, ৬৫,০০০ ও ৭৫০০০ টাকা। তারা বিধিবদ্ধ নিয়ম অনুসারে ন্যূনতম হারে সঞ্চিতি তহবিল সংরক্ষণ করেন। তারা প্রতিটি তাতকল ক্রয়ের জন্য সংরক্ষিত তহবিল ব্যবহারের চিন্তা করছেন।
অমিত রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পটি পড়েছে। তৎকালীন সময় তা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যাবধি এ সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস রয়েছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি।
জনাব জাহিদ একজন চিংড়ি রপ্তানিকারক। তিনি হিমায়িত চিংড়ি প্যাকেট করার জন্য উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকারি সহায়তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় যন্ত্রপাতি আমদানি বিলম্বিত হচ্ছে। সম্প্রতি সরকার চিংড়িখাতে কর অবকাশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। বিষয়গুলো নিয়ে জাহিদ খুব চিন্তিত। অথচ জনাব জাহিদ ২০১২ সালে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হতে সেরা রপ্তানিকারকের পুরস্কার পেয়েছিলেন। রপ্তানি উন্নয়নে ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও তিনি অংশগ্রহণ করেছেন
গ্যালাক্সি লি. এর কয়েকজন প্রকৌশলী বিশেষ এক ধরনের কাচ উদ্ভাবন করেছেন। এ কাচ ভবনের দরজা বা জানালায় ব্যবহার তারা করলে তা একই সাথে সৌর বিদ্যুতের উৎস হিসেবে কাজ করবে। এ বিদ্যুৎ যেকোনো কাজে ব্যবহার করা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানটি এ কাচ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের একক অধিকার পেতে চারা। তারা এ বিষয়ে সরকারের সাথে একটি চুক্তি সম্পাদন করে
মি. সাব্বির 'এবিসি' ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। তিনি তার ব্যাংকে সকল লেনদেনের হিসাব ছাপানো খাতায় লেখার পরিবর্তে কম্পিউটারে বিশেষ ব্যবস্থায় লিপিবদ্ধ করার নিয়ম প্রবর্তন করেন। গ্রাহকের হিসাব সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চিঠিপত্রের মাধ্যমে লেনদেনের বদলে ই-মেইল ও মোবাইল ফোনে এসএমএস পদ্ধতি চালু করেন। উন্নত গ্রাহকসেবার কারণে তার ব্যাংকের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।