'কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না। তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গিয়াছে, কিন্তু আর কিছু দিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোন রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিত উপরে আছে, সেই জন্যই তাড়া।'
কল্পনার রাজকুমার তার ছোট ভাইকে নিয়ে একদিন পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চড়ে উড়ে উড়ে মঙ্গল গ্রহে গিয়ে নামে। সেখানে অদ্ভুত আকৃতির অসংখ্য প্রাণী দেখে তারা বিমোহিত হয় । একটি বাগানে প্রবেশ করতেই নীল রঙের তিন পা বিশিষ্ট একদল প্রাণী তাদের আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার তাগিদে রাজকুমার তার ছোট ভাইকে রেখেই পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় উঠে বসে । নিমেষেই রাজকুমার একাকী মঙ্গল গ্রহ হতে আপন রাজ্যে ফিরে আসে ।
বৈশাখী উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। সব পেশা, শ্রেণি ও ধর্মের মানুষ এ উৎসব পালন করে । ঐদিন আপামর বাঙালি তাদের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও ভেদাভেদ ভুলে একই মাঠে নেচে গেয়ে নতুন বছরকে ধারণ করে। বৈশাখী মেলা, পান্তা-ইলিশ, একতারা, নাগরদোলা, পুতুল নাচ ইত্যাদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পুরো জাতি তাদের হাজার বছরের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে স্মরণ করে। এ দিনে বাঙালি জাতি সাম্প্রদায়িক চেতনা ভুলে একাকার হয়ে যায় ।
ঋতুরাজ বসন্তে প্রকৃতি এক নতুন সাজে সজ্জিত হয়। শীতের শুষ্কতা কাটিয়ে প্রকৃতি তখন নব যৌবন লাভ করে। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, ফুলে ফুলে ভরে যায় অবারিত মাঠ-ঘাট ও বাগান। আমের মুকুল মৌ মৌ গন্ধে তখন চারদিক মুখরিত হয়ে ওঠে। এই ঋতুতে বিরহীদের মন প্রিয়জনের সান্নিধ্য খোঁজে। তাদের কথা বেশি বেশি মনে পড়ে। কারণ, প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রভাব তখন মানব মনে পড়ে। কবি-সাহিত্যিকগণ তখন নতুন নতুন সাহিত্য চর্চায় আত্মনিয়োগ করার অনুপ্রেরণা লাভ করেন।
মতিন ও খাইরুনের পাঁচ বছরের সংসার। বিয়ের পর হতেই অনেক চেষ্টার পরেও তাদের সন্তান হয় না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তারা অনেক দূরের এক গ্রামে হেকমত কবিরাজের সন্ধান পায়। সন্তান লাভের আশায় ব্যাকুল মতিন দ্রুত স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যায়। হেকমত কবিরাজ অনেকক্ষণ ধরে খাইরুনকে নিরীক্ষণ করার পর বলেন— 'পেটে বেরি পরে বইলাইতো স্ত্রী লোকের সন্তানাদি হয় না, কারো পড়ে সাত প্যাচ, কারো চৌদ্দ।'
তিন স্ত্রীর সাথে সংসার করেন আব্বাস আলী দফাদার। গত মাসে প্রথম স্ত্রার অর্ধেক বয়সী আরেকটি মেয়েকে আবার বিয়ে করে ঘরে এনেছে। এ অল্প বয়স্কা বউকে আব্বাস আলী কোনো পরপুরুষের সামনে যেতে দেয় না। কখনও কথার অন্যথা হলে বউকে নানাভাবে শাসন করে। একদিন পাশের বাড়িতে টেলিভিশন দেখার অপরাধে ছোট বউকে সে শীতের রাতে ঘরের বাইরে বেঁধে রাখে। এ ঘটনায় বড় বউ খুব কষ্ট পায়। সারারাত সে ঘুমায় না। আবার কম বয়সী মেয়েটাকে যে ঘরে ডেকে নেবে সে সাহসও পায় না ।
ওয়ার্ল্ড গার্ডেন নেটওয়ার্ক নামে একটি বেসরকারি কোম্পানি রাতারাতি সারা দেশ ব্যাপী প্রসার লাভ করে। স্বল্প বিনিয়োগে মোটা অংকের মুনাফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা দেশের সাধারণ মানুষের নিকট হতে টাকা তোলা শুরু করে। কয়েক মাসের মধ্যে কোম্পানিটির জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। প্রচুর পরিমাণে টাকা হাতিয়ে নিয়ে কোম্পানিটি এক রাতের মধ্যে সারা দেশ হতে গায়েব হয়ে যায়। এই ভয়া কোম্পানির নিকট দেশের সাধারণ মানুষগুলো তাদের সর্বস্ব খুইয়ে দারুণভাবে প্রতারিত হয় ।