জনাব কুয়াশা ও জনাব শিশির দু'জন পাইকারি ব্যবসায়ী। জনাব কুয়াশা শুধু কাপড়ের ব্যবসায় করেন অন্যদিকে জনাব শিশির কাপড়ের পাশাপাশি জুতার ব্যবসায় করেন। কেননা শিশির মনে করেন কাপড়ের ব্যবসায় যদি কোনো ক্ষতি হয়, জুতার ব্যবসায় থেকে মুনাফা অর্জন করা যাবে। জনাব কুয়াশা অধিক মুনাফার আশায় সর্বদা নগদ অর্থ হাতে কম রেখে অধিক বিনিয়োগ করেন।
সুলতান সাহেব শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তিনি বিভিন্ন ব্যাংক, বিমা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ক্রয় করে পরবর্তীতে বাড়তি দামে বিক্রি করে লাভ করার চেষ্টা করেন। মাঝে মাঝে তিনি IPO-তেও আবেদন করেন। শেয়ারের দাম প্রতিনিয়ত উঠানামা করে। তিনি প্রায়ই লক্ষ্য করেন শেয়ারের মূল্য অতিমূল্যায়িত হয় আবার অবমূল্যায়িত হয় ।
মি. কমল একজন উদ্যোক্তা। তিনি নিজ উদ্যোগে ব্যবসা করতে চান। ব্যবসা করতে মোট ১০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন । কিন্তু তার ৫ লক্ষ টাকা নিজস্ব মূলধন রয়েছে। বাকি ৫ লক্ষ টাকা তিনি সোনালী অথবা রূপালী ব্যাংক হতে আগামী ১০ বছরের জন্য ঋণ গ্রহণ করতে পারেন। সোনালী ব্যাংক হতে বার্ষিক ১০% চক্রবৃদ্ধি সুদে মেয়াদ শেষে পরিশোধ করতে হবে । অন্যদিকে রূপালী ব্যাংক হতে ঋণ নিলে মাসিক ৯% চক্রবৃদ্ধি সুদে মেয়াদ শেষে পরিশোধ করতে হবে।
ফটকি লি. প্রতি প্যাকেট চানাচুর ভাজা বাজারে ৩০ টাকায় বিক্রি করে। প্রতি প্যাকেট চানাচুর ভাজার কাচামাল ও মঞ্জুরি বাবদ ব্যয় হয় ২৫ টাকা। চানাচুর উৎপাদনের যন্ত্রপাতি ক্রয় বাবদ ব্যয় হয় ১৫,০০০ টাকা। কাঁচামালের সরবরাহ কমে যাওয়ায় প্রতি প্যাকেট কাঁচামাল ও মজুরি বাবদ ব্যয় ১০% বৃদ্ধি পাবে। তবে বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি ৭০,০০০ প্যাকেট চানাচুর উৎপাদন করে।
নবগঙ্গা কোম্পানি লি. এর বছরে ১০ হাজার একক বল বেয়ারিং প্রয়োজন। প্রত্যেক বেয়ারিং এর দাম ৭৫ টাকা এবং বহন খরচ প্রতি একক ২ টাকা। ফরমায়েশপ্রতি ১৫০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির ক্রয় আদেশ দেওয়ার পর পণ্য পৌঁছাতে ৪ দিন সময় লাগে। এজন্য কোম্পানি ক্রেতাদের চাহিদা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা মজুদ হিসাবে ৬০০ একক পণ্য সংরক্ষণ করে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পণ্য পৌছাতে ৭ দিন সময় লেগে যায়।
রূপসা কোম্পানি লি. এর সাধারণ শেয়ার মূলধন ৫০ কোটি টাকা। সাধারণ শেয়ারের বাজারমূল্য ১৪০ টাকা । কোম্পানি এ বছর সাধারণ শেয়ার মালিকদের প্রতি শেয়ারে ১৪ টাকা লভ্যাংশ প্রদান করেছে এবং অতীতে কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত লভ্যাংশ ৫% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কর হার ৪০% । একটি নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য কোম্পানির আরও ৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন। নিচের দু'টি প্রকল্পের একটি হতে কোম্পানিকে তহবিল সংগ্রহ করতে হবে :
বিকল্প-১ : ১৫% সুদের হারে ১০ বছর মেয়াদি বন্ড ইস্যু করে প্রতিটি বন্ডের লিখিত মূল্য ১০০০ টাকা এবং বাজারমূল্য ১১০০ টাকা।
বিকল্প-২ : ১৩% চিরস্থায়ী অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা যায়। অগ্রাধিকার শেয়ারের বাজারমূল্য ১০০ টাকা। উত্তরণ ব্যয় ২ টাকা।
জনাব সালাম একটি কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক। তার হাতে একটি বিনিয়োগ প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ ১,০০,০০০ টাকা এবং আগামীতে ৩ (তিন) বছরে বার্ষিক নগদ কর-পরবর্তী মুনাফা যথাক্রমে ৩০,০০০, ৫০,০০০ ও ৩৫,০০০ টাকা। মূলধন ব্যয় ১৫%। জনাব সালাম নিট বর্তমান মূল্য পদ্ধতি (মঠ) ব্যবহার করে প্রকল্পের আয়ের হার সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান ।
মি. সিয়াম ক ও খ নামের পরস্পর বর্জনশীল দু'টি বিনিয়োগ প্রকল্পের যেকোনো একটি প্রকল্পে বিনিয়োগের চিন্তা-ভাবনা করছেন। প্রত্যেক প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ পরিমাণ ১,০০,০০০ টাকা। প্রকল্প দু'টির নগদ আন্তঃপ্রবাহ নিচে দেওয়া হলো :
বছর-১ | বছর-২ | বছর ৩ | বছর-৪ | বছর-৫ | |
প্রকল্প ক | ১৭,০০০ | ১৫,০০০ | ২৫,০০০ | ২০,০০০ | ২১,০০০ |
প্রকল্প-খ | ২০,০০০ | ২০,০০০ | ২০,০০০ | ২০,০০০ | ২০,০০০ |
মি. রায়হান অবসর গ্রহণের পর তার কোম্পানি থেকে ২৫,০০,০০০ টাকা পেলেন। তিনি এর মধ্যে ১০,০০,০০০ টাকা মূলধন বাজারে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি ২টি সিকিউরিটি x ও y এর অতীত ব্যয় পর্যালোচনা করেন। সিকিউরিটি x ও y এর বিগত তিন বছরের আয়ের হার নিচে দেওয়া হলো-
বছর | আয়ের হার (সিকিউরিটি x ) | আয়ের হার (সিকিউরিটি y) |
২০১০ | ৮% | ১৩% |
২০১১ | ৬% | -৫% |
২০১২ | ১৩% | ২২% |