জনাব তাহের কলেজ রোডের একটি মনিহারি দোকানের মালিক। কলেজ বোর্ডের পাশে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তিনি লক্ষ করলেন আজকাল ছাত্রদের সব কাজই ইন্টারনেটভিত্তিক এবং এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে। তিনি এ পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিলেন। তিনি দুটি কম্পিউটার এবং দুটি মডেম কিনলেন। তার ব্যবসায় এখন গরম রুটির বিক্রির মতো চলছে
মুন এবং রবি সাদ ট্রেডার্স নামে একটি অংশীদারি ব্যবসায় চালান। রাফি নামে তাদের বন্ধু প্রায়ই তাদের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে আসে। তাকেও ব্যবসায়টির একজন অংশীদার বলে মনে হয়। মাঝে মাঝে সে নিজেকে একজন অংশীদার বলে পরিচয় দেয়। কিছুদিন পরে আশিক ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাদ ট্রেডার্সের কাছে ৩০,০০০ টাকা দাবি করে। রাফি টাকাটা নিয়েছিল। এটা সত্যি ছিল কিন্তু সাদ ট্রেডার্স সে অর্থ দিতে নারাজ ৷
মুন গার্মেন্টস-এর শ্রমিকেরা তাদের নিজেদের কল্যাণার্থে কারখানা গেইটের সামনে একটি দোকান স্থাপন করে। এ দোকানের মালিক তারা এবং ক্রেতাও। তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নির্বাচিত ব্যবস্থাপনা কমিটি ব্যবসায়টি চালায়। প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিনিয়োগ যাই হোক না কেন প্রত্যেকের অংশগ্রহণ থাকে সমান। তারা তাদের সংগঠন থেকে বিবিধ সহায়তা পেয়ে থাকে
নাজিব বগুড়া শহরে কীটনাশকের একজন বিখ্যাত পাইকারি বিক্রেতা। তার কীটনাশকের গুদামঘরটি একটি জনাকীর্ণ এলাকায় যেখানে অনেক ছোট ছোট চায়ের দোকান আছে। এজন্য সে মাঝে মাঝে নিজেকে অনিরাপদ মনে করে। এ বছর তার ব্যবসায়ের পরিধি বাড়ানোর অন্য একটি মধ্যমমেয়াদি ঋণের প্রয়োজন। এজন্য সে এমন একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে চায় যেটি তার উভয় ধরনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে।
শান্ত নতুন একটা কিছু করতে চায়। সে এইচ,এস,সি পরীক্ষা শেষ করে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অফিস থেকে ৬ মাস মেয়াদি একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করল। সে তার নিজ জেলা শহরে ছোট একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টার খুলে বসল। মাঝে মাঝে সে নানারকম চ্যালেঞ্জ এবং পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। বর্তমানে সে দেশে ও বিদেশে একজন সুপরিচিত সফটওয়্যার ফার্মের মালিক হিসেবে সুপরিচিত।