করিম মিয়া একজন ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী। অল্প পুঁজিতে তিনি বাড়ি বাড়ি ঘুরে পুরাতন কাপড় ক্রয় করেন। তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন ডিজাইনের পাপোস, কাঁথা ইত্যাদি তৈরি করে বেশি দামে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে তিনি আরও বেশি কর্মী নিয়োগ করেন এবং আয়-ব্যয়ের কাজ নিজে তদারকি করেন। বর্তমানে করিম মিয়া একটি ফ্যাক্টরির মানিক।
৯ম শ্রেণির ছাত্রী মিনা বেশ উৎসাহী ও কৌতূহলী। সে বিদ্যালয়ের গার্ল গাইডস, রেডক্রিসেন্টসহ সকল সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। কয়েকদিন আগে একটি দুর্ঘটনায় তার বাবা মারা যায়। এরপর থেকে সে রাতে ঘুমাতে পারে না এবং তেমন কথাও বলে না। সারাক্ষণ চুপচাপ থাকে। বড় বোন শায়লা সব সময় তার পাশে থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতা করে।
আরিফের বয়স ৫ বছর। সে অক্ষর চিনতে ভুল করে এবং অক্ষর উল্টা করে লিখে। সে কোনো বিষয়ে মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না আরিফের বাবা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আরিফের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে বলেন। তিনি আরও বলেন, তার স্ত্রীর পরবর্তী গর্ভকালীন সময়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে যাতে পরবর্তী সন্তান সুস্থ হয়।
মি. শফিক সাহেব ও তার স্ত্রী দুজনই খুব ভোজন রসিক। তারা দুজনই পোলাও, চর্বিযুক্ত মাংস, মিষ্টি, পায়েস এমনকি ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিছুদিন অন্তর তাদের দুজনই শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তারা দুজনই ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার শফিক সাহেবকে নিয়মিত রঙের চাপ মাপাতে ও চর্বিযুক্ত খাবার খেতে নিষেধ করেন। আর তার স্ত্রীকে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে নিয়মিত হাঁটতে বলেন এবং তিনি দুজনকেই নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনের পরামর্শ দেন ।