পরিবেশ দূষণ কমাতে মি. নিজামের পরিত্যক্ত প্লাস্টিক সামগ্রীকে পুনঃব্যবহারযোগ্য করার উপায় খুঁজতে বলেন। সে চিন্তা থেকে তিনি রিসাইক্লিং প্রক্রিয়ায় পরিতার প্লাস্টিক হতে শিশুদের বিভিন্ন খেলনা তৈরির কারখানা স্থাপন করলেন। তার কারখানায় কর্মচারী হিসেবে ১০ জন বেকার যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন। তাই উৎপাদিত পণ্যসামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদেশে রপ্তানি করছে।
হাবিব যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে প্রশিক্ষণ ও বাবার নিকট হতে অর্থ নিয়ে পোল্ট্রি খামার স্থাপন করেন। প্রথমে ২০০ মুরগি নিয়ে খামার শুরু করলেও ২ বছরের মধ্যে তার খামারের মুরগির সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫০০টি। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে গ্রামের বেকার যুবকরা মুরগির খামার স্থাপনে আগ্রহী হচ্ছে। হাবিব আগ্রহী যুবকদের পোল্ট্রি খামার স্থাপনের ব্যাপারে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন।
কাশিশ্বরপুর গ্রামের মতিন ও তার ২ বন্ধু সমঝোতার ভিত্তিতে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। এতে তাদের অবস্থা বেশ ভালো দেখে তাদের গ্রামের ২৫ জন কৃষক একত্রিত হয়ে সমতার ভিত্তিতে মূলধন বিনিয়োগ, নিজেদের মধ্যে ঝুঁকি ও সুযোগ-সুবিধা ভাগ করে নিতে সম্মত হয়ে একটি সংগঠন স্থাপন করে। সংগঠনটি আইনগত নিয়ম পালন করে নিবন্ধিত হয়ে মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং সদস্যদের পারস্পরিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
জনাব সাইফ ঢাকা হতে লঞ্চযোগে ভোলায় পণ্য নিয়ে এসে স্থানীয় বাজারে বিক্রয় করেন। হঠাৎ একদিন সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে একটি লঞ্চ ডুবে যায়। ফলে জনাব সাইফ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। কিন্তু পূর্বেই 'p' নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি থাকায় আর্থিক সাহায্য পান। পরবর্তীতে সাইফ স্থানীয় বাজারে 'Q' নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। যা ভোগ্যপণ্য উৎপাদন করে বিক্রয় করে। একদিন 'X' নামক একটি প্রতিষ্ঠান 'Q' নামক প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যের মান যাচাই করে এবং গুণগত মানসম্পন্ন না হওয়ায় জরিমানা করে। ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের পণ্য উৎপাদন করে তাহলে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন চিরতরে বন্ধ করে দেবে বলে সতর্ক করে।
জনাব ইকবাল পাউরুটি ও কেক উৎপাদন করে বিক্রয়ের জন্য ইকবাল কনফেকশনারী' প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিলেন। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য তিনি বাজারে পণ্যটির চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা যথাযথভাবে নিরূপণের লক্ষ্যে জনগণের জীবনযাত্রার মান, ভোক্তার আয়, ফলাফল অনুকূল ইত্যাদি হওয়ায় শহরের বিসিকে একটি কারখানা স্থাপন করলেন এবং উৎপাদিত পণ্যের মান ভালো হওয়ায় প্রতিদিন নগদ লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক নগদ লেনদেনের হিসাব সংরক্ষণ করতে হয়।
প্রকৌশলী জনাব রাইজুল তার কারখানার জন্য কিছু অভিজ্ঞ লোকের নিয়োগ দেন। এছাড়া কিছু নতুন ব্যক্তির নিয়োগদানের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন কিছুদিন পরে সজল নামে একজন ব্যক্তিকে দুর্নীতির জন্য চাকরি হতে অপসারণ করেন। তিনি কারখানায় নারী-পুরুষ উভয়ের কাজের ভেদাভেদ না করে উপযুক্ত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন এবং যারা ভালো কাজ করে তাদেরকে পুরষ্কৃত করে থাকেন। মাঝে মাঝে তিনি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হাতে নিয়ে দক্ষতার সাথে। সম্পন্ন করে মুনাফাও বেশি অর্জন করেন। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানটি একটি সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
জনাব আলম সাতক্ষীরা হতে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে নিজ প্রতিষ্ঠান আলম স্টোরসে পণ্যের গুণাগুণ, ওজন ও আকৃতি অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস করেন। বিক্রয় কাজে সুবিধার জন্য আসাদ নামে এসএসসি পাসকৃত অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরি করত এমন একজন বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেন। আসাদ ক্রেতা ও ভোক্তাদের সাথে সদা হাসিমুখে কথা বলেন, কোনো কথায় বিরক্তবোধ করেন না। ভোক্তারা আসাদের মুগ্ধ। এ ছাড়া তিনি বয়স্ক নারী-পুরুষের সাথে অত্যন্ত সচেতনতার সাথে পণ্য বিক্রয় করেন। ফলে অল্প সময়ে আলম স্টোরস সফলতা লাভ করে।
জনাব সেঁজুতি ও তার কয়েকজন বান্ধবী মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। এ লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জানতে যায়। তারা এমন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিল, তাদের ঋণ বিতরণের ৪০% এর বেশি এসএমই খাতে বিতরণ করতে হয়। উৎপাদন ও সেবা শিল্পে ঋণ দিতে হয় এবং সহজ শর্তে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। তিন বছর পর অন্য একটি সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সেঁজুতি এবং তার বান্ধবীরা ৫ বছরের জন্য ৫ কোটি টাকা ঋণ নেন এবং সম্প্রসারণ করে সফলতা লাভ করেছেন।
কুষ্টিয়ার জজকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় জনাব মেজবাহ একটি হোটেল প্রতিষ্ঠা করেন। দুপুরের খাবারে রুই ও ইলিশ মাছ একত্রে রান্না করে। ইলিশ মাছের দামে রুম মাছ এবং পোল্ট্রি মুরগির মাংস দেশীয় মুরগির দামে বিক্রয় করেন। ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তার ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। অন্যদিকে রাজ্জাক ও তার বন্ধুরা মিলে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন স্থানীয় বেকার যুবককে নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা * করেন। প্রতিষ্ঠানটির মুনাফার একটি অংশ দিয়ে গ্রামের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। এছাড়া লাভের ওপর সরকারি করও প্রদান করছে। প্রাচীবর্তমানে রাজ্জাকদের প্রতিষ্ঠানটি সমাজের মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।