রফিক সাহেব ও মিসেস ইয়াসমিন একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। রফিক সাহেব একটি অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। তিনি বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাই তিনি তার বেতনের বাইরে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অনৈতকিভাবে টাকা-পয়সা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে মিসেস ইয়াসমিন শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি শ্রেণিতে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীদের তিনি পাঠ্যবই ছাড়াও বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ে নিজের জ্ঞানভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
রাবেয়া একটি অনাথ শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে চাকরি করে। সে তার নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের সাথে অত্যন্ত সুন্দর ব্যবহার করে এবং তাদের সাথে মমত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুরা তাকে খুব ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থতার কারণে একদিন কাজে যোগ দিতে না পারায় আশ্রয়কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক তাকে তিরস্কার করে।
কক্সবাজারের রকিব ও নেপালের নবিন দুজনই চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। রকিব ঈদের ছুটিতে নবিনকে তাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায়। দুজনে সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, ঝরনা, বৌদ্ধ মন্দির, শহিদ মিনার প্রভৃতি স্থানে ঘুরে বেড়ায়। রকিবের পরিবারের অন্য সদস্যরাও তাকে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে গ্রহণ করে। তাদের আদর-আপ্যায়ন ও আতিথেয়তায় নবিন এতই মুগ্ধ হয় যে, বিদায়বেলায় সে অশ্রুসিক্ত হয়ে যায়।
দশম শ্রেণির ক্লাস পার্টির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক ছিল "অপরাজিতা" নামের নাটিকাটির দৃশ্যায়ন। পড়া না পারা, দেরিতে আসা, বাড়ির কাজ না করা ইত্যাদি কারণে অপু ছিল ক্লাসের সবার হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপের পাত্রী। তার এই দুরবস্থার কারণ খুঁজতে গিয়ে নিলা ম্যাডাম জানতে পারেন, তার দুর্বল আর্থ-সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থাই এর জন্য দায়ী। তখন তিনি তার প্রতি স্নেহ-ভালোবাসাপূর্ণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বপন করে সুপ্ত প্রতিভার উন্মেষ ঘটান। একসময় অপুর কণ্ঠে দৃঢ় প্রত্যয় 'আমিও পারি'। আর এভাবেই সফলতার সূর্যটা হাতের মুঠোয় পুরে অপু হয়ে ওঠে 'অপরাজিতা' ।
উদ্দীপক-১:
চৌধুরী সাহেব তাঁর স্ত্রীর কুলখানিতে শুধু অভিজাত ব্যক্তিবর্গ, আত্মীয়স্বজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দাওয়াত দেন কিছু গরিব ও দুস্থ লোক সেখানে উপস্থিত হলে তিনি তাদের তাড়িয়ে দেন।
উদ্দীপক-২ :
মাদার তেরেসা ছিলেন এক মহীয়সী নারী। তাঁর সেবার কাজ কোনো দেশ, জাতি, ধর্ম কিংবা সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল না। অসহায়, অনাথ, প্রতিবন্ধী ও মুমূর্ষু মানুষের সেবায় তিনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন। কখনো জানতে চাননি রোগীর ধর্মপরিচয়। কখনো কাউকে তাঁর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে দেননি।