বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আগমনের চিত্র টিভিতে সরাসরি প্রচার করছিল। বুদ্ধা মাকে মাথায় নিয়ে এক লোক পালিয়ে আসছে। চোখে মুখে ভীতির চিহ্ন। তল্পিতল্পাসহ যে যেভাবে পারছে ছুটছে তো ছুটছেই। এ এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। টগবগে যুবক সুমনও ঘরের সব জিনিসপত্র গোছগাছ শেষে পরিবার পরিজন নিয়ো পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। দাঙ্গা-হাঙ্গামার ভয়ে সে সচরাচর বাড়ির বাইরেও বের হয়। না। তার মতে এখানে থেকে মরার চেয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়া অনেক ভালো।
উদ্দীপক-১ :
এ দেশের মাটি আমার শরীরের মাংসের মতো
কেউ চাইলেই
আমার শরীর থেকে মাংস কেটে দিতে পারি না।
এ দেশের বাতাস, আমার প্রতিটি বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস আমার নিঃশ্বাসের বাতাসে বারুদের গন্ধ ছড়াতে পারে না।
কেউ চাইলেই
উদ্দীপক-২ :
বাংলার আপদে আজ লক্ষ কোটি বীর সেনা
ঘরে ও বাইরে হাঁকে রণধ্বনি, একটি শপথে
আজ হয়ে যায় শৌর্য ও বীরগাথার মহান
সৈনিক, যেন সূর্যসেন, যেন স্পার্টাকাস স্বয়ং সবাই।
বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত মানুষেরা আহাজারি করছে। কিন্তু কিছু লোক সহায়তা না করে লুটপাট শুরু করে। বাসের যাত্রী সেলিম আহত না হলেও এ পরিস্থিতি দেখে ঘাবড়ে যায়। তখন সৎ পুলিশ অফিসার সুমন এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং তার পরামর্শে গ্রামের কিছু যুবক লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ভয় কাটে না সেলিমের।
বাদশা মিয়া বিশ্বাস করেন পীর যদি তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন, তাহলে আল্লাহও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন। তাই তিনি পীরকে নিজ গ্রামে এনে তাঁর সেবা করতে থাকেন এবং পীর যা যা বলেন, তিনি তাই করেন। একই গ্রামের রাজামিয়া উচ্চশিক্ষিত সচেতন একজন মানুষ। পীরকে তিনি শ্রদ্ধা করেন ঠিকই, কিন্তু পীরের সেবাতেই সব হাসিল করা যাবে— তিনি এমনটা মনে করেন না। তিনি মনে করেন সৎভাবে চলে মানুষের কল্যাণ করলে সাফল্য আসবেই।