সোহাগী অনেক বছর ধরে কাজ করছে রেশমা খাতুনের বাসায়। সংসারের সমস্ত কাজ সে নিষ্ঠার সাথে করে যাচ্ছে। আজ বাড়িতে বিদেশ থেকে অনেক মেহমান আসবে, তাই সকাল থেকে সোহাগীকে রান্না করতে হচ্ছে। রান্নায় ঝাল-মসলা বেশি হওয়ায় মেহমানের খেতে একটু অসুবিধা হয়। এতে রেমশা খাতুন রেগে সোহাগীকে ঘর থেকে বের করে দেয়। সোহাগীকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে দেখে পাশের বাড়ির সুরাইয়া বানু তাকে আশ্রয় দেয়।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিকে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে জীবন বাঁচাতে উদ্বাস্তু হতে হয়। পাকবাহিনী ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। পাকবাহিনীর হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসলীলায় গোটা দেশ শ্মশানে পরিণত হয়। সময়ের প্রয়োজনে পাকবাহিনীকে রুখে দাঁড়ায় গণবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা। দেশকে মুক্ত করাই ছিল তাদের একমাত্র ব্রত।
তিন ছেলে, এক মেয়ে নিয়ে অভাব-অনটনের সংসার মুনীরের। আর্থিকভাবে সচ্ছলতা পাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মুনীরের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা লীনাকে বিয়ে করতে চায় গ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী রহমত মিয়া। অভাবী মুনীর এ প্রস্তাবে রাজি হলেও লীনা এ বিয়ে করবে না বলে তার বাবাকে সাফ জানিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত এ অসম বিয়ে থেকে রেহাই পায়নি লীনা