দিদার সাহেব তার পরিচিত কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এ সমিতিতে তিনি খেটে খাওয়া মানুষদের সদস্য হিসেবে নিতে নারাজ। কারণ তিনি মনে করেন এদের দিয়ে কিছু হবে না। তিনি এদের প্রতি ঘৃণা পোষণ করেন। অপরদিকে আরমান সাহেব তার এলাকার ছিন্নমূল হত-দরিদ্র লোকদের নিয়ে সামাজিক সেবামূলক কাজ শুরু করেন যেখানে অনেক লোক অংশ নেয়। আরমান সাহেব মনে করেন এরা অবহেলার পাত্র নয়। দেশের উন্নয়নে এদেরও ভূমিকা অনেক।
সিয়াম অবসরে হিন্দি ও ইংরেজি গান শোনে। তার বাবা আলমাস সাহেব তাকে জারি, সারি, ভাটিয়ালি ইত্যাদি বাংলা গান শোনার জন্য উৎসাহিত করেন এবং বলেন এ গানগুলো আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করে। কিন্তু আজ বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাবে আমাদের এসব গান হারিয়ে যাচ্ছে। এতকিছু বলার পরও সিয়ামের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি।
আয়-রোজগারবিহীন সংসারে শেফালীর খুব কষ্টে দিন কাটে। শেফালী অন্যের বাড়িতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সুমী রহমানের বাড়িতে সে ঝিয়ের কাজ নেয়। শেফালী পরম যত্নে ছোট বাচ্চাদের দেখাশোনা করে এবং অন্যান্য দায়িত্ব পালন করে। শেফালীদের সংসারে অনেক কষ্ট থাকলেও সে তাদের অভাব অনটনের কথা সুমী রহমানকে বলে না। সুমী রহমান তা বুঝতে পেরে শেফালীকে মাসিক বেতন বাড়িয়ে দেয়।
আলম সাহেব গত কয়েক রাত ভালোভাবে ঘুমাতে পারেন না। তার তিনটি কারখানা আছে। সেখানে ব্যবসা মন্দা ও শ্রমিক অসন্তোষ চলছে। ফলে তার রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় অন্যের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবার সময় নেই। অপরদিকে সলিম মিয়া মধ্যবিত্ত ঘরের সাধারণ চাকুরে। যে পরিমাণ আয় তা দিয়ে ভালোভাবে চলছে। সুযোগ পেলেই অন্যের দুঃখে-কষ্টে সময় দেন। সব সময় তার মনে প্রশান্তি বজায় থাকে।