(i) রসুলপুর গ্রামে হঠাৎ শুরু হয়েছে প্রচণ্ড তাণ্ডবলীলা। গ্রামের পর গ্রাম পুঁড়ে ছারখার। লাশের উপর লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। এখানে সেখানে পড়ে থাকা নিথর দেহগুলো পায়ে ঠেলে চলে যাচ্ছে পাকবাহিনী
(ii) ঝাপসা চোখে মা তাকায়
উঠানে উঠানে
যেখানে খোকার শব
শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে
এখন মার চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের।
মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে "বীরদের মুখে বীরগাথা" অনুষ্ঠানের আলোচক বীর মুক্তিযোদ্ধা আৰু কায়েস। তিনি যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, "তখন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, মুক্তিবাহিনীকে সংগঠিত করে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনাই ছিল আমার কাজ। সে সময় এ দেশীয় কিছু লোক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধ করার জন্য এলাকাভিত্তিক কিছু বাহিনী গড়ে তোলে। যাদের কাজ ছিল মুক্তিবাহিনীর লোকদের ধরিয়ে দেয়া এবং তাদের কাজকে বাধাগ্রস্ত করা। আমরা তাদের কূটকৌশলকে পরাজিত করে স্বাধীনতা লাভ করি।”
ষাটোর্ধ্ব বসিরের অনেক সম্পত্তি। প্রভাব-প্রতিপত্তিও কম নয়। সালাম মিয়া তার কিশোরী মেয়ে রোকেয়াকে বসিরের সাথে বিয়ে দিতে চায়। রোকেয়ার সাফ কথা- সে এ বিয়ে করবে না। সে আরও লেখাপড়া করতে চায়। এমতাবস্থায় শিক্ষিত যুবক শাওন এ অসম বিয়ে মানতে পারছে না বলে সে রোকেয়ার পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসে। সে রোকেয়ার মতের প্রাধান্য দিয়ে নিজ দায়িত্বে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ করে। এতে শাওনের পরিবারের লোক তার উপর অসন্তুষ্ট হলেও সে কান দেয়নি।