বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এ মেলায় ক্রেতা, বিক্রেতা, দর্শনার্থী, শিল্পী, সাহিত্যিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হন। উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন আবৃত্তি, সঙ্গীত, প্রকাশনা উৎসব ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর সাহিত্যকর্মের জন্য বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশ দক্ষিণ সুদান। স্বাধীনতা লাভের পর দেশের প্রতিটি নাগরিকের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়ে। এ নিয়ে সরকার প্রধান রাষ্ট্রের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংবিধান রচনা করেন। এর ফলে সকলের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
শাসন ক্ষমতা লাভের পর মি. রহিমকে অনেক সমস্যা ও বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়। তার সময় ভণ্ড ধর্ম প্রচারকদের উদ্ভব, কর বিরোধী আন্দোলন ও স্বধর্মত্যাগীদের বিদ্রোহ রাষ্ট্রে ধর্ম ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানে। তিনি সাহস ও দৃঢ়তার সাথে এ জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। বিশ্বস্ততার জন্য তাকে বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলা হয়। আইনসভাটি দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট। উচ্চ কক্ষের নাম হাউজ অব কমন্স। মূলত হাউজ অব কমন্সে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অপরদিকে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত হাউজ অব লর্ডসের সদস্যগণ দেশের সার্বিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সুচিন্তিত মতামত দেন।
সুলতানী ও মুঘল আমলে ভারতে ফারসি ভাষায় সরকারি কার্যক্রম চলতো। কিন্তু পলাশী যুদ্ধের পর ইস্ট- ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। শাসন ক্ষেত্রে ব্রিটিশরা ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভব করে। এরই প্রেক্ষিতে তারা ভারতে ইংরেজি শিক্ষার স্কুল প্রতিষ্ঠা করে। অফিস আদালতসহ সবখানে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। অর্থনীতি, শিক্ষা, ব্যবসায় তারা ইংরেজি সংস্কৃতি চালু করে।
চেঙ্গিস খান শুধু তার নিজস্ব বীরত্বে বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারী হতে পারেননি। দক্ষ সেনাপতির রণনিপুণতাই তার সাম্রাজ্যের বিশাল বিস্তৃতির প্রধান কারণ ছিল। তাছাড়া সাম্রাজ্য বিস্তার করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। তার বিশাল সাম্রাজ্যকে তিনি “উত্তরাঞ্চল' ও ‘দক্ষিণাঞ্চল' নামক দুটি প্রধান উইং-এ বিভক্ত করে সেখানে দুইজন দক্ষ প্রতিনিধি নিয়োগ করেছিলেন। তাঁরা দুইজনই পরস্পর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাজ্য বিস্তার করতেন। তবে এদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি মেঙ্গু খান ছিলেন খুবই নৃশংস।
বাদশা নাসির উদ্দিন বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হওয়া সত্ত্বেও সহজ, সরল ও অনাড়ম্বর জীবনযাপন করতেন। তার কোনো দাস-দাসী ছিল না। তিনি ব্যক্তিগত ও সাংসারিক প্রয়োজনে সরকারি কোষাগার থেকে কোনো অর্থ খরচ করতেন না। কুরআন শরীফ নকল ও টুপি সেলাই করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। তিনি খুলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন। প্রশাসনিক কাজের চেয়ে তিনি ধর্মীয় কার্যাবলিকে অধিক গুরুত্ব দিতেন।
পবন চৌধুরি মরিচপাশা গ্রামের জমিদার পরিবারের সন্তান। তিনি উচ্চ শিক্ষিত ও পৈতৃকসূত্রে বিশাল সম্পদের অধিকারী। এলাকার মানুষের শিক্ষার উন্নতির জন্য তিনি একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেছেন। দেশ-বিদেশের বহু গ্রন্থ সংগ্রহ করে তিনি এটিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। তার এই গ্রন্থাগারের সুনাম শুনে দূর-দূরান্ত থেকে বহু জ্ঞানপিপাসু মানুষ এখানে ছুটে আসেন। তিনি এই গ্রন্থাগার পরিচালনায় প্রচুর টাকা খরচ করেন।
আজমপুরের খান বংশের ব্যবসায়ী দাউদ খান তালুকদার বংশের হান্নান সাহেবের নিকট এক সংঘর্ষে পরাজিত হয়ে জমিদারি হারান। বিজয়ী হান্নান সাহেব খান বংশের লোকদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালান। তার অত্যাচার থেকে কোনোক্রমে রেহাই পেয়ে খান বংশের সন্তান কবির মাহমুদ মাতুলালয়ে আশ্রয় নেন। সেখান থেকে ভাগ্যান্বেষণে তিনি পার্শ্ববর্তী রাজনগরে স্বাধীন জমিদারি প্রতিষ্ঠা করেন।
“ক' রাজ্যের ধর্মীয় নেতা মি. এন্থনি যখন জনসম্মুখে আসেন তখন সবাই অবাক। তিনিও তো তাদের মতো একজন সাধারণ মানুষ অথচ একদল পুরোহিত বলে আসছিল যে তিনি মানুষ নন বরং দেবতা। পুরোহিতদের বলা এসব কাহিনী যখন তার গোচরে আসে তখন তিনি তাদের কঠোর শাস্তি দেন। অতঃপর জনগণকে সাথে নিয়েই তিনি ‘ক’ রাজ্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন।