এইচএসসি পাস করার পর মইনুল কিছুদিন চাকরির পেছনে হুটাছুটি করেন। অবশেষে বাবার কাছ থেকে মাত্র এক লক্ষ টাকা নিয়ে স্থানীয় বাজারে একটি মুদি দোকান প্রতিষ্ঠা করেন। এর জন্য তাকে নামমাত্র ফি দিয়ে একটি লাইসেন্স। সংগ্রহ করতে হয়। মইনুল দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখেন। তাছাড়া ক্রেতাদের যখন যা প্রয়োজন, তখন তা নিমিষেই এনে দেন।
রংপুরের তিস্তা পাড়ের জেলেরা তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সমবায় সমিতি গঠন করেছেন। তাদের উৎপাদিত মৎস্য ঢাকার বাজারে বিক্রি করেন। গত বছর তাদের অর্জিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ২,৫০,০০০ টাকা। তারা বিধিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত তহবিল সংরক্ষণ করন। বর্তমানে সমিতির প্রয়োজনে ৬০,০০০ টাকায় একটি ফ্রিজ কিনতে চান। এজন্য তারা সংরক্ষিত তহবিলকে কাজে লাগাতে চাইছেন।
ওয়াসা কর্মী মিজানুর রহমান পরিবারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে গেছেন। সেখানকার প্রাকৃতিক দৃশ্য তাদের মুগ্ধ করেছে। মিজানুর রহমান ভাবলেন, পার্বত্য এলাকায় প্রয়োজনীয় যাতায়াত, আবাসিক ব্যবস্থা, গাইড ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে এ এলাকায় প্রচুর লোক বেড়াতে আসবেন এবং প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যাবে।
মুকুল রায় এসএসসি পাস করে টাকার অভাবে লেখাপড়া করতে পারলেন না। তিনি একটি মোটর গ্যারেজে কয়েক বছর কাজ করার পর নিজেই একটি মোটর কার গ্যারেজ প্রতিষ্ঠা করেন। পুরোনো মোটর পার্টস ব্যবহার করে তিনি ছোট আকারের মোটর যান তৈরি করে বিক্রি শুরু করলেন।তার ব্যবসায়টি বেশ লাভজনক হওয়ায় তিনি ধীরে ধীরে তা সম্প্রসারণের চিন্তা করেন।
রসুলপুরের মুদি দোকানদার রিপন। গ্রামের অনেকেই ঢাকায় থাকেন। মাসে মাসে বাড়িতে টাকা পাঠান। এ টাকা উঠানোর জন্য তাদের স্বজনদেরকে শহরে যেতে হয়। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল প্রভৃতি পরিশোধ করতে শহরে গিয়ে ব্যাংকে পুরো একটা দিন ব্যয় করতে হয়। এসব বিড়ম্বনা দেখে রিপন তার মোবাইল সেটে ইন্টারনেট সংযোগ নেন। এখন গ্রামবাসী এসব কাজ তার দোকানে মোবাইল সেটের মাধ্যমেই সম্পন্ন করেন।