সফিপুর নামক অঞ্চলটি আয়তনে অনেক বড়। জনসংখ্যাও অনেক বেশি। একজন শাসকের পক্ষে পুরো অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তাছাড়া উক্ত অঞ্চলে বসবাসরত অধিবাসীদের একটা অংশ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। এই সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের একজন মহান নেতা এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের মতামত দেয়। মতামতের যৌক্তিকতা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ অঞ্চলটি বিভক্ত করে। কিন্তু একটি পক্ষের তীব্র বিরোধিতায় পরবর্তীতে তা রদ করা হয়। এতে অন্য পক্ষ হতাশ হয় এবং দুটি পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠে।
P নামক ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রের একটি নির্বাচনে শাসক দলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে অংশগ্রহণ করে ও বিজয়ী হয়। এই নির্বাচনের পরই দেশটিতে একটি সংবিধান রচিত হয় এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়া হয়। তাছাড়া উক্ত নির্বাচন তৎকালীন রাজনীতিতে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিস্তার করে।
জনাব সাজিদ হোসেন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষে আইন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি ছিলেন আপসহীন। অবিভক্ত বাংলার আন্দোলনেও তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেন। তাঁর বন্ধু জনাব রিফাত আইন পেশার পাশাপাশি রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তিনি সুদখোর মহাজনদের কবল থেকে কৃষকদের মুক্ত করার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করেন।
শ্রেণিকক্ষে পৌরনীতি ও সুশাসনের শিক্ষক বলেন যে, সরকারের একটি অঙ্গ সরকারি অর্থ তহবিলের নিয়ন্ত্রক ও রক্ষক হিসেবে কাজ করে। এটি বিতর্ক সভা হিসেবেও কাজ করে থাকে। তিনি আরো বলেন যে, সরকারের আরেকটি অঙ্গ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিরোধের নিষ্পত্তি করে থাকে। নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা ও নিরাপত্তা বিধান করাও এ বিভাগের কাজ।
জনাব সৈকত খান সরকারের একজন দক্ষ কর্মকর্তা।সরকার তাকে মাঠ প্রশাসনের প্রধান পদে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি অধীনস্থ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন। অন্যদিকে জনাব রায়হানও মাঠ প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মরত। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রত নিয়ে তার বিভাগটি গঠিত হয়েছে?
জনাব সাখাওয়াত হোসেন একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার নির্বাচিত প্রধান। তিনিসহ মোট ১৩ জন সদস্য নিয়ে সংস্থাটি গঠিত। তার সংস্থাটি পল্লি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তার চাচাত ভাই জনাব করিম বধুঘাট শহরের অন্য একটি সংস্থার জনপ্রতিনিধি। সংস্থাটিকে আধুনিক করতে তিনি বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সংস্থার কাউন্সিলরগণ এ ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করেন।
জনাব খায়রুল ইসলাম সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক একটি সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের মতো মর্যাদা ভোগ করেন। তাঁর বাল্যবন্ধু জনাব ইমতিয়াজ সরকারি কর্মে লোক নিয়োগের জন্য যোগত্যসম্পন্ন, মেধাবী ও দক্ষ লোক বাছাইয়ের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এক্ষেত্রে তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখেন।
রিফাহ তাসনিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় নেতা হিসাবে তিনি জাতীয় সংসদে নেতৃত্ব দেন। তাছাড়া রাষ্ট্র পরিচালনায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। অন্যদিকে তাঁর দলের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে এশা তাসমিন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রাখেন। রিফাহ তাসনিয়া আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির শাস্তি মওকুফ করতে না পারলেও এশা তাসনিম তা করতে পারেন।
জনাব আঃ সামাদ দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রতিষ্ঠানে নিম্নপদে কর্মরত আছেন। ইতোমধ্যে তিনি অঢেল টাকা-পয়সা ও সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। আত্মীয়-স্বজন তার সম্পর্কে নানা ধরনের খারাপ মন্তব্য করে এবং তাকে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী তার বন্ধু রিপন সম্প্রতি শারীরিক নানা সমস্যা নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। ডাক্তার রিপনকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, সে জটিল রোগে আক্রান্ত-যার কোনো চিকিৎসা নেই।
একতা' এমন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যেটি কেবল একটি ধর্মের অনুসারীদের প্রধান দেশগুলো নিয়ে গঠিত হয়েছে। শুরুতে সংস্থাটি যে নামে যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমানে তার কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার 'বন্ধন' নামক আরেকটি আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা রয়েছে। যেটি কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ তৈরি করে পারস্পরিক যথার্থ কাজ করে যাচ্ছে।
একটি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে প্রধানত দুটো সম্প্রদায় বসবাস করে। সম্প্রদায় দুটোর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কয়েকটি শাসনতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করে ব্যর্থ হয়। অবশেষে ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ পার্লামেন্টে এমন একটি আইন পাস করে যেটির মাধ্যমে প্রদেশগুলোতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় আর প্রদেশগুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা পায়।