জনাব নাসির ও নাসিম দুজন কাপড়ের পাইকারি ব্যবসা করেন। জনাব নাসির শুধু কাপড়ের ব্যবসা করেন। অন্যদিকে জনাব নাসিম কাপড়ের পাশাপাশি রঙের ব্যবসা করেন। তিনি মনে করেন, যদি কাপড়ের ব্যবসায় ক্ষতি হয় তাহলে রঙের ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জন করা যাবে। অন্যদিকে জনাব নাসির বেশি মুনাফার আশায় নগদ টাকা হাতে কম রেখে বিনিয়োগ করেন।
রহিম ট্রেডার্স ২০১৬ সালের জুন মাসে করিম ব্রাদার্স-এর নিকট ৪,০০,০০০ টাকার পণ্য ধারে বিক্রয় করেছিল। সে সময় করিম ব্রাদার্স ৩,০০,০০০ টাকার একটি বিনিময় বিলে স্বীকৃতি দিয়েছিল যা রহিম ট্রেডার্স পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংকে ৫% বাট্টায় ভাঙ্গিয়ে নিয়েছে। অবশিষ্ট ১,০০,০০০ টাকার জন্য যে চেক পাওয়া গিয়েছিল তা অমর্যাদা হওয়ায় করিম ট্রেডার্স আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছে।
কামাল সাহেব প্রতিষ্ঠানের তারল্য নিয়ে চিন্তিত এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে চলতি মূলধন সংগ্রহের কথা ভাবছেন। বিক্রয় ঋতুতে যথার্থভাবে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত মজুদের বিষয়টিও বিবেচনা করছেন। অতীতের ধারা অনুযায়ী মোট বিক্রয়ের অন্তত ৫০% ধারে বিক্রয় করতে হয় এবং আদায় করতে প্রায় তিন মাস সময় লাগে ।
হামিদ সাহেব একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। প্রতিষ্ঠানটি ধারে কাঁচামাল ক্রয় করে থাকে। সম্প্রতি কাঁচামাল সরবরাহকারী ধার পরিশোধের জন্য ২/১০ নিট ৪৫ শর্ত প্রস্তাব করেছেন। এ অবস্থায় হামিদ সাহেব তার মালিককে ২% বাট্টা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানালেন। কিন্তু মালিক পাল্টা যুক্তি দেখালেন, “আমার হাতে নগদ টাকা নেই। এখন ২% বাট্টা গ্রহণ করতে হলে বার্ষিক ১৪% হারে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হবে, তাই সেটা লাভজনক হবে না।" হামিদ সাহেব তার মালিককে বোঝাতে ব্যর্থ হলেন যে, ২% বাটার সুযোগ গ্রহণ না করলে বার্ষিক ব্যয় বেশি হবে।
জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন উড়াল সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরও অবশিষ্ট অর্থ যোগাড় করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে ৪,০০০ টাকা লিখিত মূল্যের চিরস্থায়ী বড় ইস্যু করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দয়ার সুদের হার ১৫%।
যমুনা লিমিটেডের ২০১৬ সালের ৩১শে ডিসেম্বর তারিখের উদ্বৃত্তপত্র নিম্নরূপ :
মূলধন ও দায় | টাকা | সম্পত্তিসমূহ | টাকা |
শেয়ার মূলধন | ৩২,০০,০০০ | যন্ত্রপাতি | ১৬,০০,০০০ |
১০% ঋণপত্র | ২২,০০,০০০ | ভূমি ও দালান | ২২,০০,০০০ |
বিবিধ পাওনাদার | ৮,০০,০০০ | মজুদ পণ্য | ১২,০০,০০০ |
বকেয়া ব্যয় | ৩,০০,০০০ | প্রাপ্য বিল | ৩,০০,০০০ |
প্রদেয় বিল | ৫,০০,০০০ | নগদ তহবিল | ১০,০০,০০০ |
অগ্রিম ব্যয় | ৭,০০,০০০ | ||
মোট | ৭০,০০,০০০ | মোট | ৭০,০০,০০০ |
অন্যান্য তথ্য : নিট বিক্রয় ৫০,০০,০০০ টাকা, বিক্রীত পণ্যের ব্যয় ২৮,০০,০০০ টাকা, করের হার ৪০%।
রূপালী লিমিটেড কোম্পানির মূলধন কাঠামো নিম্নরূপ :
টাকা | |
সাধারণ শেয়ার | ২০,০০,০০০ |
১০% অগ্রাধিকার শেয়ার | ৫,০০,০০০ |
১৫% ঋণপত্র | ১৫,০০,০০০ |
মোট | ৪০,০০,০০০ |
কোম্পানির প্রতিটি শেয়ার বর্তমান বাজারে ২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানি প্রত্যাশা করছে যে আগামী বছর প্রতি শেয়ার ৪ টাকা করে লভ্যাংশ দিতে পারবেন। লভ্যাংশ বৃদ্ধির হার ৫% এবং করের হার ৩০%।
মেঘনা কোম্পানির বিনিয়োগ প্রকল্প নিম্নরূপ :
প্রকল্পের প্রাথমিক বিনিয়োগ ১,০০,০০০ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদকাল ৫ বছর । ভগ্নাবশেষ মূল্য শূন্য।
কর-পরবর্তী নগদ প্রবাহ | পরিমাণ (টাকা) |
১ম বছর | ৬০,০০০ |
২য় বছর | ৩০,০০০ |
৩য় বছর | ২০,০০০ |
৪র্থ বছর | ৫০,০০০ |
৫ম বছর | ৫০,০০০ |
কোম্পানির মূলধন ব্যয় ১০%, প্রকল্পের অবচয় স্থির কিস্তি পদ্ধতি হিসাবে ভুক্ত হবে। কোম্পানির কর হার ৪০%।