সাদ এ বছর একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি সে তার পাঠ্যবিষয় হিসেবে এমন একটি বিষয় পড়বে, যা রাষ্ট্রে একজন নাগরিক হিসেবে ব্যক্তির কার্যাবলি' অধিকার সম্পর্কে আলোচনা করে। পাশাপাশি এ বিষয় অধ্যয়ন করে সাদ সুনাগরিকতার গুণাবলি, নাগরিকদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়াদি জানতে পারবে।
জনাব কাওসার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কাজকর্ম গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় চলায় কাজের গতি ছিল অত্যন্ত ধীর। জনাব কাওসার উক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সকল পর্যায়ে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ দিলে তিনি তা গ্রহণ করেন। কিছুদিনের মধ্যেই উক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি ও দক্ষতা দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে পূর্বেকার তুলনায় আধুনিক, দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠে।
সালমান ও নাঈম জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। ছুটিতে তারা উভয়ই নিজ দেশে এসেছে। এ সময় দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বিধায় উভয়েই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সালমান ও নাঈম মনে করে নাগরিক অধিকার ভোগের পাশাপাশি রাষ্ট্রের প্রতি কর্তব্য পালন করা প্রয়োজন। ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ছুটি শেষে তারা উভয়েই আবার জাপান প্রত্যাবর্তন করে।
'ক' রাষ্ট্রের শাসন বিভাগ আইন বিভাগের নিকট দায়ী এবং একটি কেন্দ্র থেকে সমগ্র রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়। 'ক' রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান জনগণের পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে, 'খ রাষ্ট্রটি কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে ক্ষমতা বিভাজনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। উক্ত 'খ' রাষ্ট্রটির রাষ্ট্রপ্রধান জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তাই 'ক' ও 'খ' রাষ্ট্র দুটির মধ্যে কিছুটা সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য প্রতীয়মান হয়।
জনাব আবু তাহের গত বছর একটি সরকারি হাই স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্রাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও পেনশন অনুমোদন না হওয়ায় খোঁজ নিতে তিনি মন্ত্রণালয়ে যান। মন্ত্রণালয়ের জনৈক কর্মকর্তা জনাব আবু তাহেরের বিষয়টি অবগত হয়ে দ্রুত পেনশন অনুমোদনের ব্যাপারে তাকে সহায়তা করেন। দেরিতে হলেও জনাব আবু তাহের তার পেনশনের সমুদয় টাকা বিনা ঘুষে প্রাপ্ত হন।
জনাব কামাল হাসান একটি সংগঠনের সদস্য। তাঁর সংগঠনটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করে। সংগঠনের সদস্যরা সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও কর্মসূচি মেনে চলে। অন্য আরেকটি সংগঠনের সদস্য হলেও বন্ধু জনাব আরিফ সরদারের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক। আরিফ সরদার তার সংগঠনের বিভিন্ন দাবি- দাওয়া নিয়ে প্রায়ই কামাল হাসানের নিকট আসেন এবং নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে তৎপর থাকেন।
প্রফেসর রাইসুল ইসলাম শ্রেণিকক্ষে সরকারের অঙ্গসমূহ নিয়ে আলোচনা করছিলেন। একটি বিভাগকে তিনি আইন তৈরির কারখানা বলে অভিহিত করলেন। এমনকি বিভাগটি দেশে প্রচলিত আইন পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা সংশোধনের ব্যবস্থাও করে থাকে। তবে দেশের আইন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জননিরাপত্তা বিধান করা আরেকটি বিভাগের প্রধান কাজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।