জনাব কবির ১০,০০,০০০ টাকা পুঁজি নিয়ে সিলেটে একটি বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। তার কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন আসাবাবপত্র ঢাকা শহরের বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করেন। দেখতে সুন্দর, টেকসই অথচ দামে সস্তা এসব পণ্য সম্পর্কে ক্রেতাসাধারণের তেমন একটা ধারণা নেই । ফলে এসব পণ্যের বিক্রির পরিমাণ খুবই কম ।
জনাব রিয়াদ দীর্ঘদিন কাপড়ের ব্যবসায় করার পর | সোনারগাঁয়ে একটি জামদানি শাড়ির কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিলেন। সস্তায় শ্রমিক, বাজার সুবিধা ও সরকারি ঋণ সুবিধা তাকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে। তিনি বাংলাদেশি জামদানি শাড়ির ঐতিহ্যকে বিদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এজন্য তিনি শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেন । আশা করছেন তিনি এতে সফল হবেন ।
জনাব রফিক ৫ জন কর্মী ও ১৫ লক্ষ টাকা মূলধন নিয়ে কলেজ রোডে একটি স্টেশনারি দোকান স্থাপন করলেন। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী বিক্রয় না হওয়ায় তিনি চিন্তিত। তিনি লক্ষ করলেন আজকাল শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ কাজই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ভিত্তিক। এর চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। তাই তিনি তার দোকানে দুটি কম্পিউটার ও একটি রাউটার ক্রয় করে শিক্ষার্থীদের কম্পোজ ও অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা দেওয়া শুরু করেন। ফলে তার ব্যবসায়টি এখন লাভজনক হয়ে উঠেছে।
২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে কামাল, আলম ও জামাল তিন বন্ধু পারস্পারিক সমঝোতার ভিত্তিতে ‘অহনা রেস্তোরাঁ’ নামে একটি খাবার হোটেল চালু করেন । জামাল কোনো মূলধন সরবরাহ করেননি। তবে তিনি ব্যবসায়ের যাবতীয় কার্যাবলি | সম্পাদন করেন। ২০১৮ সালের শুরুতে মুনাফা বণ্টন নিয়ে জামালের সাথে অপর দুই বন্ধুর মনোমালিন্য দেখা দিলে জামাল এ ব্যবসায়ে আর সদস্য থাকবে না বলে লিখিতভাবে জানিয়ে দেন ।
জনাব আমিন ও তার চার বন্ধু মিলে একটি স্পিনিং মিল স্থাপন করেন। তাদের অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ ৮০ কোটি টাকা। তাদের সুদক্ষ পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ফলে প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়ায় তারা আরও তিনটি ইউনিট। স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তাদের আরও ১০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। ব্যাংক ঋণ নেওয়ার অসুবিধার কথা বিবেচনা। করে তারা জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে প্রয়োজনায় অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন ।
জনাব ফারুক একজন কৃষি বিজ্ঞনী। তিনি ২০১০ সালে বারোমাসি এক ধরনের লিচুর বীজ আবিষ্কার করেন। ২০১৫ সালে তিনি মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার আগে লিচু বীজের স্বত্ব তাঁর স্ত্রী মিসেস নেহাকে দিয়ে যান। সম্প্রতি মিসেস নেহা লক্ষ করেন, বেশ কিছু নার্সারি ঐ বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করছেন। তাই তিনি তার স্বামীর উদ্ভাবিত লিচু বীজের স্বত্ব রক্ষার্থে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেন ।
মি. রিয়াজ তাঁর 'এ প্লাস' কারখানায় তৈরিকৃত শার্ট ও প্যান্ট বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বিখ্যাত ব্র্যান্ড শো-রুমে সরবরাহ করেন। ২০১৭ সালে ১ লক্ষ পিস শার্ট সরবরাহে ১ সপ্তাহ বিলম্ব হওয়ায় ইংল্যান্ড এর বিখ্যাত ব্র্যান্ড “হ্যাডস” তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে ১ লক্ষ পিস শার্ট ‘এ প্লাসের' প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠনের সহায়তায় ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করে দেন।
জনাব মামুন ইন্ডিপেনডেন্ট লি.-এর অর্থ ব্যবস্থাপক। তিনি সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত অফিসে থাকেন। মাঝে মাঝে রাত ১০টাও বেজে যায় এবং শুক্রবারও কাজ করতে হন। বাধ্যবাধকতায় বিরক্ত হয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে একটি বড় ওষুধের দোকান দেন। ৬ জন কর্মী তার দোকানে কাজ করে। জনাব মামুন মাঝে মাঝে দোকানে বসেন।
মি. সোহেল যশোরে একটি থাই গ্লাসের দোকান প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি প্রতিমাসে বাবা-মায়ের জন্য ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। এতে তার অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। বর্তমানে তার গ্রাম মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হওয়ায় তিনি এখন দ্রুত ও নিরাপদে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারেন। তাঁর বাবা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিরাপদ বোধ করছেন এবং খুশি হয়েছেন ।
জনাব তাওসিফ একজন ফলের ব্যবসায়ী। ফল পচনশীল বিধায় বেশি লাভের আশায় তিনি ফলের মধ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করেন এবং দ্রুত ফল পাকানোর জন্য মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কার্বাইড ব্যবহার করেন। এতে প্রথম দিকে মুনাফা হলেও পরবর্তীতে তার | বিক্রয়ের পরিমাণ কমতে থাকে। অপরদিকে জনাব নোমান পাশে অন্য একটি দোকানে ফলের ব্যবসায় পরিচালনা করেন। তিনি ফলে কোনোরূপ রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ করেন না বিধায় | সৎ ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর দোকানের ফল | ক্রয়ের জন্য প্রচুর লোকের সমাগম হয়।