মি. রহমান BBC কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক যিনি সর্বদা কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধির কথাই চিন্তা করেন। ফলে তিনি কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমানের দিকে। খেয়াল না রেখে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধির দিকেই বেশি মনোযোগ দেন। পক্ষান্তরে, মি. হারুন MAXWELL কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক। তিনি তার কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের গুণগতমান যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন। ভোক্তার স্বার্থের দিকটা মাথায় রেখে তিনি সীমিত মুনাফা করেন। এতে করে MAXWELL কোম্পানির উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হয়। মি. হারুন কোম্পানি সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থের দিক মাথায় রেখে কোম্পানির সম্পদ বৃদ্ধির দিকে নজর দেন।
ডিংডং কোম্পানি একটি খেলনা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটির সম্প্রসারণের জন্য অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় কোম্পানির ব্যবস্থাপক শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। অপরপক্ষে, মার্সেল গ্রুপ একটি ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। মার্সেল গ্রুপ এর ব্যবস্থাপক শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিলে আইনগত জটিলতায় পড়ে এবং জানতে পারে যে, মার্সেল গ্রুপ এর শেয়ার বিক্রির কোনো ক্ষমতা নেই ।
মি. সাহা J & J কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক। মি. সাহার নিকট কোম্পানি সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তিনি এমন উৎস থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে চান যেখানে মূলধন পরিশোধের সীমারেখার মধ্যে বাধ্যবাধকতা কম। পক্ষান্তরে K & K কোম্পানির আর্থিক ব্যবস্থাপক মি. ঘোষ ব্যাংক ঋণ নিয়ে কোম্পানি সম্প্রসারণ কার্যক্রম করার সিদ্ধান্ত নেন। K & K কোম্পানি যথাসময়ে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় খেলাপী ঋণীর তালিকাভুক্ত হয়।
কাঞ্চন লিমিটেড কোম্পানি তার মূলধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৫,০০০ টাকা লিখিত মূল্যের ১২% অগ্রাধিকার শেয়ার ইস্যু করে, যার বাজারমূল্য ৪,৫০০ টাকা এবং বিক্রয় ব্যয় ২৫০ টাকা। শেয়ার ইস্যুর দিন থেকে মেয়াদকাল ৫ বছর এবং কোম্পানির করহার ৪০%। অন্যদিকে কোম্পানি ১৫% ঋণপত্রও ইস্যু করতে পারেন যার বাজার মূল্য ৪,৮০০ টাকা। লিখিত মূল্য ৫,০০০ টাকা এবং ভাসমান ব্যয় ২০০ টাকা, মেয়াদ ৫ বছর।
মিসেস হেলেনের "সুরুচি আচার" নামে একটি আচারের ব্যবসায় আছে। তিনি গ্রীষ্মকালে একইসাথে কুল, আমসহ বেশ কয়েক প্রকারের আচার তৈরি এবং বাজারজাত করেন। ফলে এ সময় তার ব্যবসায়ে তারল্য সংকট দেখা দেয়। অপরপক্ষে, মিসেস পারভীনের “টক-ঝাল' নামে একটি আচার ও জেলির ব্যবসা আছে। তিনি সারা বছর ধরে বিভিন্ন ফলের আচার ও জেলি তৈরি ও বাজারজাত করেন। মিসেস পারভীন তার ব্যবসা দীর্ঘকাল ধরে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছেন।
মি. আলী একজন নামকরা গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। তার ফ্যাক্টরীর উৎপাদিত গার্মেন্টস পণ্য আন্তর্জাতিক মানের। অপরপক্ষে, মি. সিদ্দিক গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি ভোগ্যপণ্য, আবাসন ও বিভিন্ন নামকরা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বিধি-নিষেধের ফলে গার্মেন্টস সেক্টরে প্রভৃত ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ফলে মি. আলী তার ব্যবসায়ের মূলধন হারিয়ে পথে বসেন। কিন্তু মি. সিদ্দিক পূর্ববর্তী বছরের মত এ বছর ব্যবসায়ে মুনাফা না করতে পারলেও ক্ষতির সম্মুখীন হন না।