X' নামক একটি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে বসবাসকারী জনাব কাশেম উপলব্ধি করনে যে, তার রাষ্ট্রে ঔপনিবেশিক শাসন দীর্ঘায়িত হবে। এজন্য তিনি শাসকগোষ্ঠীর সাথে বিরোধে না গিয়ে স্বজাতিকে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি জনগণকে সংঘটিত করতে একটি রাজনৈতিক দল গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। অন্যদিকে জনাব কাশেমের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনাব চৌধুরী ও ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের ডাক দেন। তিনি সাধারণ জনগণকে সংঘটিত করে সামরিক প্রশিক্ষণ দেন এবং নির্দিষ্ট একটি এলাকাকে স্বাধীন ঘোষণা করেন। কিন্তু শাসকগোষ্ঠীর প্রবল আক্রমণে তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
'ক' অঞ্চলটি ছিল আয়তন ও জনসংখ্যায় ব্রিটিশ-ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। একজন শাসকের পক্ষে এতবড় প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনা করা ছিল কষ্টকর। তাই প্রদেশটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। লক্ষ্য ছিল প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমউন্নয়ন। ব্রিটিশ সরকার এ অঞ্চলের মানুষকে শাসন করার উদ্দেশ্যে প্রদেশটিকে ভাগ করলেও এটি ছিল একটি অংশের প্রাণের দাবি। একটি অংশ উপকৃত হলেও অপর অংশের সার্বিক বিরোধিতা ও অসহযোগিতার কারণে তা পুনরায় একীভূত করা হয়।
জনাব 'S' তার সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা এবং একাধিক রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেন। এর আলোকে 'ক' ও 'খ' নামে দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। 'খ' রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ওপর নানা রকম শোষণ নিপীড়ন চালায়। পরবর্তীতে আন্দোলন, সংগ্রাম ও রক্তের বিনিময়ে 'খ' রাষ্ট্রটি ভেঙ্গে 'গ' রাষ্ট্রটির জন্ম হয়। মূলত: 'গ' রাষ্ট্রটির বীজ জনাব 'S'-এর মূল প্রস্তাবেই নিহিত ছিল।
জনাব 'R' একজন প্রখ্যাত রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি লন্ডনের গ্রেস ইন থেকে বার এট'ল সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে তিনি সদা সচেষ্ট। তিনি গণতন্ত্রের প্রতি ছিলেন আপসহীন। তাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলা হয়। তিনি উপমহাদেশের বিরোধী দলের স্রষ্টা তিনি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন।
দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করে 'ক' রাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করে। তারপর কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয়ে একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি ব্রিটেন ও ভারতের সংবিধানের উত্তম বিষয়সমূহের অনুকরণে একটি সংবিধান রচনার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে জনগণের মৌলিক অধিকারসহ রাষ্ট্রীয় কার্যাবলির সকল বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়। উক্ত সংবিধানে সংসদীয় ব্যবস্থার উত্তম বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিফলিত হয়। এ সংবিধান দুই- তৃতীয়াংশ সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সংশোধন করা যায়।