দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে এ অঞ্চলের জনগণের মধ্যে আশা জেগেছিল যে এবার তাদের সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিত হবে। কিন্তু অচিরেই অর্থনৈতিক শোষণ, সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও রাজনৈতিক বঞ্চনার কারণে তাদের হতাশায় নিমজ্জিত হতে হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের একপর্যায়ে সম্মোহনী নেতৃত্বের গুণাবলিসম্পন্ন এক ব্যক্তিত্ব জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি ও স্বাধিকারের কথা চিন্তা করে কয়েকটি দফার সমন্বয়ে একটি অন্যান্য কর্মসূচি প্রদান। করেন। যা জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
একদিন সাইফুল সাহেব তাঁর মেয়েকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু দেখতে যান। তাঁর মেয়ে বলল, এই বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্যই সিরাজগঞ্জ বিখ্যাত হয়ে থাকবে। তিনি বললেন, না, এ অঞ্চলে এমন এক নেতার জন্মস্থান, যিনি ব্রিটিশ-ভারতে কৃষকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বহু আন্দোলন করেছেন। শুধুমাত্র মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিনি বৃহৎ একটি রাজনৈতক দলের প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
সুফিয়া অর্থাভাবে তার ১২ বছরের মেয়ে কাজলীর পড়ালেখার খরচ বহন করতে পারছিল না। তাই সে সাহায্যের জন্য শহরে তার ধনী আত্মীয়ের বাড়ি যায়। তিনি তার মেয়ের পড়াশোনার ভার নেন। মেয়েকে আত্মীয়ের বাড়িতে রেখে নিশ্চিন্ত মনে বাড়ি ফিরে যায় একবছর পর সে জানতে পারে কাজলী লেখাপড়ার কোন সুযোগই পায়নি। তাকে জোরপূর্বক বাড়ির সব কাজ করানো হয়। তাই সুফিয়া এ অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশের একটি আদালতের শরণাপন্ন হয়।
বর্ষার জলাবদ্ধতা নগরজীবনের এক অভিশাপ। নগরবাসীকে এ সংকট হতে মুক্তি দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়। নালা- নর্দমা পরিষ্কার, জলাশয় ভরাট রোধ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ইত্যাদি নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়। সরকারের একটি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতষ্ঠান এসব কাজ করে থাকে। যেহেতু নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এসব কাজে নিয়োজিত জনগণের প্রত্যাশা তাদের প্রতি অত্যধিক। বাংলাদেশে এরূপ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক।
যুদ্ধের অভিশাপ থেকে মুক্ত করে বিশ্বব্যাপী স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যার সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমানে ১৯৩টি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এ সংগঠনের সদস্য। বিশ্বব্যাপী স্নায়ুযুদ্ধের অবসান, টেকসই উন্নয়ন, গণতন্ত্রের উন্নয়ন, দুর্যোগ মোকাবিলা ছাড়াও স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিধান সংস্থাটির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মূলত আন্তর্জাতিক শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল কাজ এ সংস্থাটি করলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যর্থতাও রয়েছে।
যাচ্ছে এবং প্রায়শই তিনি অসুস্থবোধ করেন। তাকে দেখেও বেশ ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত মনে হয়। তাছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন থেকে জ্বর, শুকনা কাশি এবং নিউমোনিয়াসহ শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। এসব জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার জানান, তার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। ডাক্তার আরো বললেন তিনি এক ভয়ঙ্কর রোগে আক্রান্ত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ রোগের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে।