করিম গাজীপুরের একজন চাল ব্যবসায়ী। তিনি মায়নামার | থেকে চাল আমদানি করে বাছাই করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে বস্তা ভরে নিজস্ব গুদাম সংরক্ষণ করেন । তার গুদামে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। কিন্তু বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি গুদামের চাল প্যাকেটজাত করে মধ্যপ্রাচ্যে বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেন।
জনাব রিফাত গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা স্থাপন করেন। এখানে জমির মূল্য অপেক্ষাকৃত কম এবং পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যায়। ফলে বিনিয়োগ কম করেও মুনাফার পরিমাণ বেশি হয়। তিনি দেখলেন তার কারখানার পার্শ্ববর্তী ‘রংধনু' নামক একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কাজের সময় ও কর্ম পরিবেশ নিয়ে শ্রম অসন্তোষ চলছে। মালিকপক্ষ ‘রংধনু' নামক পোশাক কারখানাটি তালাবদ্ধ ঘোষণা দেয়।
লিজা পড়াশুনার পাশাপাশি ‘কুইন' নামে একটি বিউটি পার্লারের দোকান পরিচালনা করেন। তিনি পার্লারে দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেন। পাশাপাশি নিজেও গ্রাহকদের সেবা দেন। তিনি গ্রাহকদের অভাব অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং সে অনুযায়ী সেবা দানের চেষ্টা করেন। গ্রাহকরা তার উপর খুবই সন্তুষ্ট। অল্প দিনে তার ব্যবসায়ের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিদিন তার পার্লারে। ভিড় লেগে থাকে। এখন তিনি কুইন-২' নামে আরেকটি বিউটি পার্লার খোলেন এবং সেখানে পাঁচ জন দক্ষ কর্মী নিয়োগ দেন।
রাশেদ ও শাহেদ চুক্তিবদ্ধ হয়ে একটি অংশীদারি ব্যবসায় শুরু করেন। রাশেদ ব্যবসায়ে ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে। কিন্তু খুলনায় একটি বেসরকারি এনজিওতে চাকরিরত থাকার কারণে সে ব্যবসায় পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। শাহেদ একাই ব্যবসায় পরিচালনা করে এবং তারা ব্যবসায়ের লাভ সমানভাবে ভাগ করে নেয়। শাহেদ ঢাকার বাংলাবাজার থেকে নগদের পাশাপাশি বাকিতেও পণ্য ক্রয় করে থাকে। শাহেদ কিছু দিনের জন্য বিদেশে গেলে রাশেদ দোকানে বসে। এর মাঝে একজন পাওনাদার ৫০,০০০ টাকা পাওনা আদায়ের জন্য দোকানে আসে। কিন্তু রাশেদ পাওনাদারের দাবি পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায় ।
এবিসি ফ্যাশন চিরন্তন অস্তিত্ববিশিষ্ট একটি গার্মেন্টস শিল্প । দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পর্যাপ্ত মূলধনের অভাবে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। ফলশ্রুতিতে দেশের স্বনামধন্য পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আনন্দ ফ্যাশন লি. এবিসি ফ্যাশনের ৫০%-এর অধিক শেয়ার ক্রয় করে নেয় এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এবিসি ফ্যাশনসের নীতি নির্ধারণের ক্ষমতা আনন্দ ফ্যাশনসের কাছে চলে আসে।
মি. শহিদুলের রাজশাহীতে পাঁচটি আমবাগান আছে। মৌসুমে আম এলাকার বাজারে বিক্রয় করে তেমন মূল্য পান না। তাই আরও বিশজন আমবাগানের মালিককে সাথে নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তুললেন । এ সংগঠনের মাধ্যমে তারা বাগানের আম একত্রিত করে এবং ট্রাক ভাড়া করে ঢাকার আড়তে বিক্রয়ের জন্য নিজেদের উদ্যোগে নিয়ে আসে। ফলে তারা আমের ভালো দাম পায়। মি. শহিদুল আম সংগ্রহ ও পরিবহন কাজের জন্য সংগঠনে পাঁচ জন কর্মী নিয়োগ দেয় ।
জনাব শফি তার পরিবার নিয়ে শীতকালীন ছুটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। যাত্রার শুরুতে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম যান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনযাত্রা শুরু করে, পথে কোথাও না থেমে চট্টগ্রাম পৌঁছে। তার পরিবার ভ্রমণটি খুব উপভোগ করে এবং কর্তৃপক্ষের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে তারা পাবর্ত্য চট্টগ্রাম যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা তাদের বিমোহিত করে। জনাব শফি চিন্তা করলেন পাবর্ত এলাকায় পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি- বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে। পাশাপাশি সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারবে।
উচ্চশিক্ষিত মি. শফিক যমুনা নদীর তীরে স্বল্পমূল্যে চল্লিশ একর জমি নিয়ে মনোরম পরিবেশে একটি পিকনিক স্পট প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও খেলার সামগ্রী দিয়ে স্পটটি সুন্দরভাবে সাজান। পরবর্তীতে জন প্রতি ৫০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করেন। প্রথম দুই বৎসর তার স্পর্টে লোক সমাগম ছিল কম। তিনি আশাবাদী ছিলেন ভবিষ্যতে দর্শনার্থী সমাগম বৃদ্ধি পাবে এবং লাভবান হবেন। তিনি হতোদ্যম না হয়ে টেলিভিশিনের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার করেন। ফলে প্রচুর দর্শনার্থী সমাগম হতে লাগল এবং পিকনিক স্পট থেকে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে
জনাব কালাম মিয়া সৌদি আরবে দীর্ঘদিন একটি ওয়ার্কশপে কাজ করছিলেন । সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে সৌরচালিত ভিন্ন ধরনের একটি পাওয়ার টিলার আবিষ্কার করেন । তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি গত বছর বিজ্ঞান মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে। আইনগত ব্যবস্থা না নেয়াতে এ ধরনের আবিষ্কার থেকে তিনি আর্থিক সুবিধা নিতে পারেন নি। কিন্তু পরবর্তীতে একটি প্রতিষ্ঠান যন্ত্রটি নকল করে বাজারজাত করতে থাকে এবং জনগণের নিকট থেকে ব্যাপক সাড়া পায়। পিতার আবিষ্কারের স্বত্ব রক্ষার্থে পুত্র মি. সোহান যথানিয়মে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন।