'ক' ও 'খ' একটি বৃহৎ রাষ্ট্রের দুই অঞ্চল। 'ক' অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখে। এতে 'খ' অঞ্চল বৈষম্যের শিকার হয়। এ বৈষম্য থেকে মুক্তির লক্ষ্যে 'খ' অঞ্চলের একজন মহান নেতা কিছু কর্মসূচি পেশ করেন।উক্ত কর্মসূচিতে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা, বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রাদেশিক সরকারকে ক্ষমতা প্রদানের দাবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু এতে মুদ্রা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ে কোনো বক্তব্য ছিল না।
জনাব রহমত আলী হজ্জব্রত পালন শেষে দেশে ফিরে এসে সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তিনি কৃষকদেরকে জমিদার ও মহাজনদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলেন। সরকার তাকে দেশদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা দেয় এবং তাকে প্রতিহত করার উদ্যোগ নেয়। তিনি স্বদেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
সুমাইয়ার দেশের সংবিধান একটি লিখিত সংবিধান। সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ইত্যাদি এ সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য। এ সংবিধান সংশোধনের জন্য আইনসভার তিন- চতুর্থাংশের সদস্যদের সমর্থন প্রয়োজন। সংবিধানটিতে জনগণের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ থাকলেও রাষ্ট্র চালনার 'মূলনীতির' কোনো উল্লেখ নেই।