দেশের স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ করে জনাব শামীম স্বল্প বেতনে একটি ফার্মে চাকরি নেন। প্রাপ্ত বেতন দ্বারা কোনো রকম সংসার চলছে বটে কিন্তু তার দ্বারা জ্ঞাতির কোনো উপকার হচ্ছে না ভেবে চাকরি ছেড়ে তিনি একটি পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করলেন। তিনি ফার্মে উৎপাদিত ডিম ও একমাসের বাচ্চা বিক্রয় করে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। চাকরি করে। যে বেতন পেতেন তা থেকে ব্যবসায়ের আয় অনেক বেশি, পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদাও কম নয়। তাই তিনি ভাবছেন দেশের সকল কর্মক্ষম যুবদের মধ্যে যদি এ ধরাণার বিকাশ ঘটতো তাহলে হয়তো আমাদের দেশের বেকারত্ব অনেকটা কমে যেত ।
মি. P একটি স্বনামধন্য বেসরকারি কলেজের শিক্ষক। কলেজের নিকটেই কয়েকটি ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বছর তিনি তার সঞ্চিত অর্থ দ্বারা কলেজের সন্নিকটে একটি ভবনের নিচতলা ভাড়া নিয়ে একটি বড় দোকান শুরু করলেন। তার দোকানের ১ম অংশে স্টেশনারি, ২য় অংশে ফটোকপি মেশিন ও ৩য় অংশে মোবাইল ব্যাংকিং-এর ব্যবসায় শুরু করলেন। মি. P তার তিন ভাইকে দোকানের তিনটি অংশের দায়িত্ব প্রদান করলেন। অল্প দিনের মধ্যে তার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়টি সফলতা অর্জন করে।
২০১০ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে বিরেন, বিজয় ও স্বাধীন সমঝোতার ভিত্ততে একটি ব্যবসায় শুরু করলেন। তাদের প্রত্যেকের মূলধন এক লক্ষ টাকা। ২০১১ সালে বিরেনের মৃত্যুর পর তার ১০ বছরের কন্যা মুক্তিকে বিজয় ও স্বাধীনের সম্মতিতে ব্যবসায়ের অংশীদার করেন। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে ব্যবসায়ের মুনাফা সামান্যই হলো। ২০১৫ সালের ১ জুলাই তারিখে বিজয় দেউলিয়া ঘোষিত হলো। তখন ব্যবসায়ের দায়ের পরিমাণ তিন লক্ষ টাকা ।
মধ্যস্থব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার লক্ষ্যে পদ্মাপাড়ের জেলেরা মাছের ন্যায্যমূল্যের জন্য একটি সমবায় | সমিতি গঠন করে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের অর্জিত মুনাফার পরিমাণ ছিল নিম্নরূপঃ
মুনাফা ২০,০০০ টাকা ২৫,০০০ টাকা ৩০,০০০ টাকা ৩৫,০০০ টাকা তারা বিধিবদ্ধ ন্যূনতম হারে সংরক্ষিত ও উন্নয়ন তহবিল সংরক্ষণ করে। তহবিলের টাকা হতে তারা ২৫,০০০ টাকা মূল্যের একটি নতুন ফ্রিজ ক্রয়ের জন্য চিন্তা করছে।
পূর্বতীমুর সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রটি ওই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্রিম হ্যাভেন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। সমগ্র মুনাফার ৪৯% মালিক হবে সরকার। চুক্তির শর্তানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করবে এবং বৈদাশিক বাণিজ্য / সম্প্রসারণের জন্য গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন করবে। পরবর্তীতে চুক্তির শর্ত পরিবর্তন করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা সরকারের নিজের হাতে রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এম এ খালেক একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি নতুন একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করে তা নিবন্ধন করার পর ২০ লক্ষ টাকায় একটি বড় কোম্পনির কাছে বিক্রয় করেন। কোম্পনিটি তাদের হিসাব সংরক্ষণে ঐ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। ১ বছর পর তিনি লক্ষ করলেন তার উদ্ভাবিত সফটওয়্যারটি অপর দুটি কোম্পানিও ব্যবহার করছে। তিনি ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করলেন।
জনাব করিম ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একজন সিনিয়র অফিসার। ব্যাংকটি লেজার বুকের পরিবর্তে কম্পিউটারে গ্রাহকদের হিসাবের লেনদেন সংরক্ষণ করে। তথ্য আদান- প্রদানের চিঠির পরিবর্তে মোবাইল ফোন, ই-মেইল ইত্যাদি ব্যবহার করে। গ্রাহকগণ কার্ড ব্যবহার করে ব্যাংকে না গিয়ে যেকোনো বুথ থেকে দিন রাত ২৪ ঘন্টা টাকা তুলতে পারে ।
আসিফ সাহেব একজন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ী। তিনি কখনোই পণ্যে ভেজাল মেশান না। কর্মচারী একদিন তার অজান্তেই কিছু পণ্যে ভেজাল মিশালে তিনি তা জানতে পেরে সাথে সাখে তাকে চাকরি হতে বরখাস্ত করলেন। তিনি ভাবলেন সমাজের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ভোগ করে জীবন ধারণ করে। এ সকল পণ্যের গুণ ও মান ভালো না হলে জনগণের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। একজন সচেতন – ব্যবসায়ীর দ্বারা তা আদৌ কাম্য হতে পারে না। তাছাড়া জনগণ অসাধু ব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত করে বসলে ব্যবসায় টিকবে না।