জনাব মুছাব্বির চৌধুরী একটি চা উৎপাদনকারী কোম্পানির নীতি নির্ধারণী এবং পরিকল্পনা প্রণয়ন কাজের সাথে জড়িত। কর্তৃপক্ষ ( ২০১৬ সালে ৫ লক্ষ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কর্মীরা রাতদিন পরিশ্রম করে ভাল ফলনের পরও ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। জনাব চৌধুরী ও পরিচালনা পর্ষদ তদন্ত করেও বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা শ্রমিকদের কোন গাফিলতির প্রমান পায়নি।
সেভেন প্লাস ইলেকট্রনিক্স লিঃ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে একটি বিশ্বস্ত নাম। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মি. ইফতেখার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে সকল কর্মীর কাজ মূল্যায়ন করেন। বিক্রয় ব্যবস্থাপকদের কাজ বিশ্লেষণ করে তিনি দেখতে পান চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মি. সুজন পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৫% বেশি পণ্য বিক্রয় করেছেন। অন্যদিকে সিলেট অঞ্চলের বিক্রয় ব্যবস্থাপক মি. আউয়াল পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৩৫% অধিক পণ্য বিক্রয় করেছেন। এমতাবস্থায় তিনি মি. আউয়ালকে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি প্রদান করেন । প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ এর তুলনায় ২০১৬ সালে ৭৫ কোটি টাকা অধিক মুনাফা অর্জন করে ।
জনাব করিম মাহি সু লিঃ এর চেয়ারম্যান। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ২ লক্ষ জোড়া জুতা তৈরীর পরিকল্পনা করে। কিন্তু বছরের মাঝামাঝিতে বেশ কিছু প্রবীণ দক্ষ শ্রমিক অবসরে চলে যায়। নতুন একটি কারখানায় অধিক বেতনের প্রস্তাবে আরো কিছু সংখ্যক শ্রমিক চাকুরী ত্যাগ করে চলে যায়। এতে প্রতিষ্ঠানটি বছর শেষে ১ লক্ষ ৬০ হাজার জোড়া জুতা তৈরী করতে সক্ষম হয়। সময়মত 1 জুতা সরবরাহ করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয় ।
মি. মঞ্জুর একটি প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন নির্বাহী। তার অধীনে ৭ জন ব্যবস্থাপক ও ১০ জন শাখা ব্যবস্থাপক আছেন। সম্প্রতি কার্যভার বেশী হওয়ায় মি. মঞ্জুরের সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছিল। প্রতিষ্ঠান এ বিষয়টি বিবেচনা করে একজন পরামর্শক নিয়োগ দেয়; যিনি মঞ্জুরকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত উন্নতি করছে।
অহনা স্পিনিং লিমিটেড দুইটি পদে লোক নিয়োগের কথা ভাবছে। একটি হচ্ছে বিক্রয় ব্যবস্থাপকের পদ, অন্যটি চিকিৎসক। বর্তমানে বিক্রয় বিভাগে ২ জন সহকারী বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে জনাব মনির কনিষ্ঠ। তার কর্মদক্ষতা বিবেচনা করে পরিচালনা পর্ষদ তাকেই বিক্রয় ব্যবস্থাপক হিসাবে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক পদটি নতুন সৃষ্টি করা হয়েছে।
জনাব সফিক সহকারী পদমর্যাদার একজন কর্মী। ১২ বৎসর চাকুরী জীবনে তিনি একই পদমর্যাদায় কর্মী বিভাগ, উৎপাদন বিভাগ, বিপণন বিভাগ ও হিসাব বিভাগে কাজ করেছেন। এতে তার কর্মদক্ষতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রশাসন মনে করছে তিনি এখন পদোন্নতির যোগ্য। কেননা, কর্ম অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাও রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ জনাব সফিককে পদোন্নতি প্রদান করেন।
অবনি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব কালাম অধঃস্তন কর্মীদের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। তিনি মনে করেন। অধঃস্তনরা ব্যক্তিগত অসুবিধা ব্যতিরেকে কাজে ফাঁকি দেয় না। সিদ্ধান্ত গ্রহণে তারা অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে কাজের প্রতি তাদের অঙ্গীকার বৃদ্ধি পায়। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে তিনি পিছপা হননা। আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি কোনো কাজ করেন না। যে কোন সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তির চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রাপ্তিকে অধিক গুরুত্ব দেন। স্বল্পভাষী জনাৰ কালামকে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে বেশ পছন্দ করে।
মিসেস রোমেনা একট বুটিক হাউসের মালিক। তাঁর কারাখানায় ২০০ জন শ্রমিক কাজ কারে যাদের বেশিরভাগ নারী। পার্শ্ববর্তী রংধনু বুটিক কারখানায় কর্মীদের বেতন ৩০% বৃদ্ধি করলেও রোমেনা তার প্রতিষ্ঠানে বেতন বাড়িয়েছেন ১৭%। কিন্তু তিনি কারখানার কাজের পরিবেশকে অনেক পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করেন। শ্রমিকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সুবিধা, যাতায়াত সুবিধা এবং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শ্রমিকদের চাকুরীর নিরাপত্তার বিষয়টি ঘোষণা করেন। এতে শ্রমিকরা উৎসাহিত হয়। বছর শেষে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তার প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বেশী হয়ে থাকে।
রেড রোজ লিঃ প্রতিষ্ঠানটি সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে। ছয়টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে প্রতিষ্ঠানটি তার কার্য পরিচালনা করে। প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান জনাব আমীর অন্য ব্যবসায়ের কাজে প্রায়ই বিদেশে থাকেন। তাই তাঁর পক্ষে আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো পরিদর্শন করা সম্ভব হয় না। তিনি মাঝে মাঝে তাঁর অফিসে স্থাপিত ইন্টারনেট সংযোগ, মাল্টিমিডিয়া ও বড় স্ক্রীনের সাহায্যে ছয়টি কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে সারাসরি কথোপকথন ও নির্দেশনা দেন। বিভাগীয় কর্মকর্তারাও তাদের কার্যালয়ে বসেই মত বিনিময়ে অংশ নেন। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি উপকূলীয় অঞ্চলে নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর নিকট সাবানের রাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়।
রুপা সিরামিকস বছরের শুরুতেই উৎপাদন ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। ২০১৭ সালে তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লক্ষ ইউনিট । জুন মাসে দেখা যায় উৎপাদন বিভাগ ৫ লক্ষ ইউনিট পণ্য উৎপাদন করলেও বিক্রয় বিভাগ পণ্য বিক্রয় করেছে মাত্র ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ইউনিট। তদন্ত করে জানা যায় বিক্রয় বিভাগের কর্মীরা লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিল না। এছাড়া বিক্রয় বিভাগে অভিজ্ঞ লোকের সংকট ছিল। বিষয়টি নিয়ে রুপা সিরামিকসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চিন্তিত
জনাব হাছনাত একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর মালিক। তাঁর কারখানার উৎপাদিত শার্ট ২টি বিভাগীয় শহরে ৫টি শো-রুমে বিক্রয় হয়। জানুয়ারি মাসে তিনি ৫০ হাজার পিস শার্ট বিক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। জানুয়ারির ১৬ তারিখে দেখা গেল মাত্র ১৫ হাজার পিস শার্ট বিক্রয় হয়েছে। এমতাবস্থায় জনাৰ হাছনাত চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং পোশাকের মান বাড়ানোর পাশাপাশি কর্মীদের কাজের সময় ও বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেন।