জনাব কালাম ১৯৮৭ সালে একটি উপন্যাস রচনা করে বই আকারে প্রকাশ করেন। তিনি উপন্যাসটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রেজিস্টার বইতে লেখক হিসেবে তাঁর নাম, ঠিকানা, বইটির নাম, পৃষ্ঠা সংখ্যা উল্লেখ করে নিবন্ধন করেন। তখনকার প্রেক্ষাপটে উপন্যাসটি জনপ্রিয়তা পায়নি। বইটি আর ছাপাও হয়নি। ৩০ বছর পর ২০১৭ সালে অন্য একজন ব্যক্তি উপন্যাসটি তাঁর নিজের নামে প্রকাশ করলে জনাব কালাম পূর্বের প্রমাণাদি দাখিলপূর্বক উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
রুপন্তী, প্রিয়ন্তি ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তারা তিনজনে একটি বুটিকসের ব্যবসায় করে। তাছাড়া রূপন্তীর নিজস্ব একটি বুটিকসের ব্যবসায় রয়েছে। অধিক লাভের আশায় তারা তিনজন মিলে ব্যবসায়ের যাবতীয় বিষয় নিজেদের মতামত অনুযায়ী দলিলাকারে লিপিবদ্ধ করে ও নিবন্ধন করে। ব্যবসায়ের পরিধি বেড়ে যাওয়াতে রূপন্তী তার নিজস্ব ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছে।
মিসেস নীলা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন । পরিবারের সবকিছু তাকেই সামলাতে হয় । অফিসের কাজে অতিমাত্রায় ব্যস্ত থাকার কারণে বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল ও পানির বিল বর্তমানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে 'বিকিকিনি' নামে একটি শপিংমল। যেতে ব্রুয় করেন। শপিংমলের কর্মীরা মাল মিসেস নীলার বাড়িতে পৌঁছে দেয় এবং তিনি মোবাইলের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করেন। মিসেস নীলাকে বিল ও মূল্য পরিশোধ করতে এখন আর তেমন য়ামেলা পোহাতে হয় না।
মি. আব্দুল হাই একটি গার্মেন্টস শিল্পের মালিক ও রপ্তানিকারক। 8 সম্প্রতি আমদানিকারক দেশ জাপানের MISAKA" প্রতিষ্ঠানের সাথে বিরোধ দেখা দিলে, সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে পড়ে ওঠা । একটি সংগঠনের সহায়তায় তা সমাধান করে নেয়। মি. আব্দুল হাই- এর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণ করে। এবং বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সহায়তা করছে অন্য একটি সংগঠন। ফলে ব্যবসায়ের সাফল্য উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মিস সাম্মী ও মরিয়াম দুই বান্ধবী। তারা দু'জনেই যুব উন্নয়ন প্রবন্ধ থেকে বাটিক, বুটিক ও সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মিস সাম্মী তার নামে একটি বাটিক, বুটিকের দোকান দিয়েছে ও মারিয়াম একটি লেডিস টেইলার্স দিয়েছে। গ্রামীণ পরিবেশে বাটিক, বুটিকের ব্যবসায়াট সফলতার সাথে না চললেও লেডিস টেইলাসটি বেশ সফলতার সাথে চলছে।
মাধববাটির লিচু চাষিরা একত্রিত হয়ে ‘আলোর ভুবন' নামে একটি সমবায় সমিতি গড়ে তোলে। ২০১৬ সালে তাদের অর্জিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ১০,০০,০০০ টাকা। অপরদিকে কাজীপাড়ার ভুট্টা চাষিরা ‘উত্তরণ’ নামে একটি সমবায় সমিতি গড়ে তোলে। ২০১৬ সালে তাদের অর্জিত মুনাফার পরিমাণও ছিল ১০,০০,০০০ টাকা। ‘উত্তরণ’ সমবায় সমিতির জমাকৃত সঞ্চয় থেকে ঋণ সুবিধা দেওয়া হয় কিন্তু ‘আলোর ভুবন' সমিতিটির সেরূপ কোনো ব্যবস্থা নেই ।
ফাহিম কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। তার কলেজ যাওয়ার পথে | কয়েকটি ইটের ভাটা রয়েছে। একদিন সে দেখল কোনো ভাটায় চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া ও কোনো চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া বেরুচ্ছে। তার মনে প্রশ্ন জাগল যে, দু'ধরনের ধোঁয়া বেরুনোর কারণ কি? এতে আশেপাশের গাছপালা, বাড়িঘর কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে। আবার সে বইয়ে পড়েছে কালো ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক। এ নিয়ে | সে এখন বেশ চিন্তিত।