সাধন একজন ব্যবসায়ী। কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়ে সে দেখতে পেল ঐ এলাকায় কিছু মাছ বাঁশের মাচায় ঝুলানো। এ বিষয়ে সাধন ঐ এলাকাবাসীর নিকট জানতে চাইল। এলাকাবাসী তাকে জানাল বহুদিন ধরে তারা এভাবে মৎস্য সংরক্ষণ করে আসছে। সাধন বিষয়টি আগ্রহের সাথে জেনে নিল । সাধন এলাকায় ফিরে এল। পরবর্তী বছর তার মৎস্য খামারের ছোট-বড় মাছ বিক্রয়ের পর কিছু মাছ অবিক্রীত রইল ।। এ সময় তার গত বছর কুয়াকাটায় দেখা মাছ সংরক্ষণের কথা মনে পড়ল এবং অবিক্রীত মাছগুলো উক্ত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে আর্থিকভাবে উপকৃত হলো। সাধন ভাবল এভাবে মাছ সংরক্ষণ সহজ ও লাভজনক।
এহসান একজন মৎস্যচাষী। তিনি নিজের পুকুরে মাছ চাষ করেন। তিনি নিয়মিত মাছের পরিচর্যার দিকে খেয়াল করেন। হঠাৎ একদিন দেখলেন, কিছু মাছের পেট অস্বাভাবিকভাবে ফুলে উঠেছে এবং দীর্ঘ সময় ধরে ভেসে থাকছে। বিষয়টি দেখে তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন। আক্রান্ত একটি মাছ নমুনা হিসেবে উপজেলা মৎস্য অফিসে নিয়ে গেলেন। মৎস্য কর্মকর্তা মাছের পেটে চাপ দিয়ে তরল জাতীয় পদার্থ বের করাসহ আরও কিছু পরামর্শ দিলেন।
আইডি বাবার সাথে একটি ফার্মে গেল। সেখানে চড়ুই জাতীয় একটি পাখি দেখল যা পোল্ট্রির অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশে বর্তমানে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে। কারণ এর মাংস সুস্বাদু, অল্প জায়গায় পালন করা যায়। এ ধরনের পাখি পালনের জন্য প্লাস্টিকের খাঁচা উত্তম। পাখিটি আইভির খুব পছন্দ হলো। সে এধরনের পাখি বাড়িতে পালন করতে বাবাকে অনুরোধ করল।
সালমা বেগম বাড়ি বাড়ি ঘুরে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে সংসারের যাবতীয় খরচ নির্বাহ করে থাকেন। গত সপ্তাহে ভাসমান ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় তার পাত্রের দুধে পশুর লোমসহ পানি মেশানো আলামত পাওয়া গেল। ভ্রাম্যমান ভেজাল বিরোধীরা মনে করে দুধের মধ্যে এসবের মিশ্রণ থাকা ভালো নয় । এগুলো ছোট একটি যন্ত্রের সাহায্যে সহজেই নির্ণয় করা যায়।
কৃষি শিক্ষক রনি মাঠে ছাত্রছাত্রীদের বনজবৃক্ষের চারা রোপণের উদ্দেশ্যে প্রথম ধাপে নির্দিষ্ট মাপে মাটি সরানো এবং দ্বিতীয় ধাপের কাজটিও সম্পাদন করে দেখালেন। ছাত্রী ঝুমুর উক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে তার বাড়িতে প্রথমে একটি চারা রোপণ করে বাঁচাতে পারল না। কৃষি শিক্ষক তাকে চারা রোপণের সময় ধাপে ধাপে কাজের ত্রুটিগুলো সংশোধন করে দিলেন। পরবর্তীতে সেই মোতাবেক ঝুমুর গাছের চারা রোপণ করে বাঁচাতে সক্ষম হলো।
স্বপন একজন ক্ষুদ্র চাষি। তার মাত্র চার খন্ড চাষের জমি আছে। তিনি বহুদিন যাবৎ উক্ত জমিতে ধান ও পাটের চাষ করে আসছেন। তার ঐ সব জমিতে এখন আর আগের মতো ফসল হয় না। তিনি চিন্তিত হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি তাকে শুধুমাত্র ধান-পাট চাষ না করে ২-৪ বছর ব্যাপী বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষের পরামর্শ দিলেন। এক্ষেত্রে ফসল চাষে তিনি গভীর ও অগভীরমূলী ফসল বিবেচনাসহ জমিকে বিশ্রাম দেওয়ার দরকার এ মর্মে পরামর্শ দিলেন।