জনাব সামি ৫,০০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে তার গ্রামে একটি নতুন ব্যবসায় শুরু করেছেন, যা শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বের অন্যান্য দেশেও বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ব্যবসায়ে সাতটি নীতির কথা বলা আছে। প্রথম বছরে তার ৫০,০০০ টাকা মুনাফা হলেও অর্জিত মুনাফা তিনি ভোগ করেননি। তবে সামি তিন বছরের মধ্যেই বিনিয়োগকৃত ৫,০০,০০০ টাকা ফেরত পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি তার গ্রামের ৬-১২ বছর বয়সী শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ব্যবসায় সম্প্রসারণের কথা চিন্তা করছেন।
বাংলাদেশের পর্যটন শহর কক্সবাজার। এখানে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু হোটেল-মোটেল গড়ে উঠেছে। আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে। প্রতিবছর প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটক আসে। কিন্তু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ সীমিত। আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য পর্যটকরা রেলে ভ্রমণ করতে চায়। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে দোহাজারী পর্যন্ত মাত্র ৫০ কিলোমিটার রেললাইন আছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য যোগাযোগ সুবিধাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারলে এ শহর আরও সমৃদ্ধি হবে।
সাদিয়া, নাসরিন, সামারা ও নামিরাহ ৪ বন্ধু মিলে একটি কফিশপ চালাবার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। নামিরাহ কফিশপে কোনো মূলধন বিনিয়োগ করে নি। তবে তার প্রাক্তন কফিশপ 'নামিরাইস'-এর নাম সে এ ব্যবসায়ে ব্যবহার করতে দিয়েছে। কফিশপটি ভালো চলছে এবং অর্জিত মুনাফা চারজনে ভাগ করে নেয় । পরে নাসরিন স্থায়ীভাবে আমেরিকায় চলে যাওয়াতে তার ১৬ বছরের ছেলে নাহলকে ব্যবসায় অন্তর্ভুক্ত করতে বাকি ৩ জন সম্মত হয়। এক বছর প্রতিষ্ঠানের ৩০,০০০ টাকা লোকসান হয়। কিন্তু নাহল কোনো দায় নেয় না।
লি.-এর কিছু শেয়ার ক্রয় করেন এবং নিজেকে ব্যাংকটির মালিক হিসেবে পরিচয় দেন। ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় | তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং পরিচালক নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। তবে তিনি সবার শেষে লভ্যাংশ পান। তার বন্ধু জনাব মুসা একই ব্যাংকের শেয়ার ক্রয় করলেও নিজেকে মালিক হিসেবে পরিচয় দেন না। এমনকি তিনি ভোটাধিকারও প্রয়োগ করতে পারেন না। তবে তিনি সবার আগে লভ্যাংশ পান
নাছিমা বেগম আঞ্চলিক কৃষি অফিস থেকে মৌ চাষের প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ৫০,০০০ টাকা মূলধন সরবরাহ করে আধুনিক পদ্ধতিতে মৌ চাষ করে উৎপাদিত মধু ‘শেফা মধু’ নামে বাজারজাত করেন। গুণগত মান উন্নত হওয়ায় অল্পদিনেই তার ‘শেফা মধু’ জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং তিনি প্রচুর মুনাফা অর্জন করেন। তা দেখে প্রতিবেশী রহিমা হুবহু নকল করে । একই নামে মধু বাজারজাত করেন। ফলে নাছিমা বেগমের ‘শেফা মধু’ বিক্রি কমে যায় এবং সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাছিমা বেগম আইনের আশ্রয় নিয়েও কোনো প্রতিকার পেল না।
জনাব জাহেদ একটি রেস্টুরেন্ট দেওয়ার কথা চিন্তা করছেন। কিন্তু বর্তমান বাজারে ব্যবসায়টি চ্যালেঞ্জিং হওয়ায় তিনি সিদ্ধান্ত নিতে ইতস্তত করছিলেন। তার কয়েকজন বন্ধু তাকে সহায়তার আশ্বাস দিলে তিনি রেস্টুরেন্টটির কাজ শুরু করেন। বছরখানেক পর রেস্টুরেন্টটি সম্প্রসারণের জন্য নগদ অর্থের প্রয়োজন হলে তার বন্ধু মালিক MIDAS থেকে চড়া সুদে ৮ মাসের জন্য ৫০,০০০ টাকা ঋণের ব্যবস্থা করে দেন। এতে তার সাময়িক অর্থ সংকট দূর হয়। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাফল্যের সাথে টিকে থাকার জন্য এখন তিনি সহজ শর্তে বিকল্প অর্থসংস্থানের উপায় খুঁজছেন
সীমা একজন গার্মেন্টস কর্মী। সে মজুরির কিছু অংশ নিজের খরচের জন্য রেখে বাকি অংশ গ্রামে বাবা-মার কাছে পাঠিয়ে দেয়। আগে গ্রামে টাকা পাঠাতে সীমার অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হতো। বর্তমানে তার গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হওয়ায় সে এখন দ্রুত ও নিরাপদে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারে। কিন্তু সীমার বাবা টাকা প্রাপ্তির ব্যাপারে সন্দিহান ও শঙ্কিত ।
মি. তাইয়ান রাজশাহীর মাছ ব্যবসায়ী। দ্রুত বড় লোক হওয়ার বাসনা তাকে সব সময় তাড়িত করতো। মাছ চাষিদের টাকা পরিশোধ না করা, তার কাছে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য করা, ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করাসহ নানা অন্যায় কাজে সে জড়িত থাকতো। সম্প্রতি সে বিদেশে মাছ রপ্তানির লাইসেন্স সংগ্রহ করে। কয়েকটি চালানে সে সঠিকভাবে মাছ পাঠালেও মাছের ওজন বাড়ানোর জন্য সে মাছের মধ্যে এক ধরনের ভারি পানি ঢুকিয়ে দেয়। টেস্টে বিষয়টি ধরা পড়ার পর বিদেশে | বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। সরকার | ইতোমধ্যে তার রপ্তানি লাইসেন্স বাতিল করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ব্যবসায়ীরা বৈদেশিক বাজার ফিরে পাওয়ার জন্য সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংগতি রেখে বিভিন্ন পদক্ষেপও নিচ্ছেন ।