রবি খুলনা শহরে একটি বিস্কুট উৎপাদনের কারখানা দিয়ে বিস্কুট উৎপাদন করে বাজারজাত করল। বাজারজাত করার ৩/৪ দিনের মধ্যে ভোক্তারা বিস্কুট ফেরত দিতে শুরু করল। ভোক্তাদের অভিযোগ , বিস্কুট প্যাকেটের মধ্যে নরম হয়ে খাদ্য উপযোগিতা হারিয়ে ফেলেছে। এতে রবি ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রবির বন্ধু শফি শিশুখাদ্য উৎপাদনে আত্মনিয়োগ করল। প্রচুর শিশুখাদ্য উৎপাদন করে বাজারে ছাড়ল। শিশুদের পিতামাতা নতুন শিশুখাদ্য সম্বন্ধে কিছু না জানায় তারা এ খাদ্য ক্রয় করল না। ফলে শফি তার ব্যবসায়ে লোকসান করল।
নকুল যশোর পৌরসভা থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে যশোর সদর হাসপাতালের সামনে অল্প মূলধন নিয়ে স্বল্প পরিসরে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এক বছরের মধ্যে তার ব্যবসায়ে লোকসান হওয়াতে সে এ ব্যবসায় বন্ধ করে দেয়। বেঁচে থাকার জন্য সে প্লাস্টিক দ্রব্য মানুষের বাসাবাড়িতে নিয়ে বিক্রয় করে। মানুষের বাসায় গিয়ে বিক্রয় তার খুব ভালো লাগে ।
রানা তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে একটি অংশীদারি ব্যবসায় গঠন করে। সমান মূলধন দিয়েও ২ বছর কোনো মুনাফা না পাওয়ায় রানা আদালতে মামলা করে। কিন্তু আদালত তার মামলা খারিজ করে দেয়। অপরদিকে তার বড় ভাই সাবু মূলধন বিনিয়োগ না করে নিজ দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও শারীরিক শ্রম ব্যয় করে অংশীদারি ব্যবসায়ের সদস্য হয়েছে। সে ব্যবসায় থেকে অনেক মুনাফা পায় ।
শফি তার শহর এলাকায় একটি সমবায় সমিতি গঠন করে সদস্যদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে। সে কিছু সদস্যকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে পণ্য সংগ্রহ করে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে। শফি কামার, কুমার, জেলে, | শ্রমিক ও কৃষকদের নিয়ে আরও একটি সমবায় পরিচালনা করছে। এসব পেশার লোকদের জন্য শফি একটি তহবিল গঠন করে। এসব লোক যেন আয়ের ব্যবস্থা করতে পারে তার জন্য শফি সহজ শর্তে অর্থ সরবরাহ করে।