বঙ্গ-ভারতের ইতিহাসে ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ একটি স্মরণীয় ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ইংরেজদের ভুল খাদ্যনীতির ফলে উক্ত দুর্ভিক্ষে সমগ্র বাংলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মৃত্যুমুখে পতিত হয়। দুর্ভিক্ষ ও অনাহারের ফলশ্রুতিতে ভবঘুরে প্রবণতার বিস্তৃতি ঘটে। পরিশেষে ভিক্ষাবৃত্তিকে নিষিদ্ধ করে প্রণীত হয় Bengal Vagrancy Control Act, 1943.
সফিক ও শাহেদ উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ছাত্র। সফিক ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে যে বিষয়টি পড়ছে তাতে সামাজিক সমস্যার কারণ উদ্ঘাটনের পাশাপাশি সামাজিক সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত সমাধান ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কীভাবে খাপ খাওয়াতে হয় তার বিবরণ আছে। অন্যদিকে শাহেদের পাঠ্যক্রমে মানুষের অভাব, প্রাপ্ত সম্পদ, সম্পদের বহুমুখী ব্যবহার, আয়-ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নের বিবরণ রয়েছে।
মালিহার বয়স ১০ বছর। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মা-বাবা মারা গেলে সে অসহায় হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা তাকে শিশু পরিবারে ভর্তি করে দেন। শিশু পরিবারের পরিবেশ মালিহার ভালো লাগে না। সব সময় সে মন খারাপ করে থাকে। এমতাবস্থায় শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক মালিহার সমস্যার প্রকৃতি নির্ণয় করে তার কল্যাণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন । মালিহা এখন অন্য শিশুদের সাথে মিলেমিশে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়।
আদিবের বয়স ১২ বছর। সমাজবিরোধী কিছু লোকের সংস্পর্শে এসে সে অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ে। সংশোধনের জন্য তাকে একটি সরকারি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। ঐ প্রতিষ্ঠানের কিছু সমস্যার কারণে আদিৰ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়হীনতার কারণে আদিবের বর্তমান অবস্থা বেশ শোচনীয় হয়ে পড়েছে।